Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

ঝুঁকি নিলে উৎসবের আগেই মৃত্যুর ট্র্যাজেডি অনিবার্য: সেতুমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ৫, ২০২১, ১০:০০ এএম


ঝুঁকি নিলে উৎসবের আগেই মৃত্যুর ট্র্যাজেডি অনিবার্য: সেতুমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লকডাউনে অনেকেই চোরাইপথে আসা-যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন। সম্প্রতি পদ্মায় স্পিডবোট ডুবিতে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সরকারকে ফাঁকি দেওয়া যায়, কিন্তু মৃত্যুকে ফাঁকি দেওয়া যায় না। এ ধরণের ঝুঁকি নিলে উৎসবের আগেই মৃত্যুর ট্র্যাজেডি অনিবার্য হয়ে পড়ে।

বুধবার (৫ মে) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ ও অসহায়-দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সবাইকে মনে রাখতে হবে, আগে জীবন পরে জীবিকা। উৎসব-আনন্দের কী দাম আছে, যদি জীবন থেকেই দূরে সরে যেতে হয়। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক উৎসব-আনন্দ করা যাবে।’ ঈদযাত্রা যেন অন্তিম যাত্রায় পরিণত না হয়- সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে দুর্যোগ-দুর্বিপাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন ৭৫ পরবর্তীকালে কোনো সরকার প্রধান বা রাজনৈতিক নেতা এমন নজির স্থাপন করতে পারেনি।’

একটা দল সরকারের বিরুদ্ধে গলাবাজি করছে, তাদের কোন কাজ নেই- উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘করোনার এই দুঃসময়ে তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এমন একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তা করে দেখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু একটা দল ঢাকায় বসে শুধু লিপ সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘তারা একেক সময় একেক আন্দোলনের ওপর ভর করে ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতায় লিপ্ত। তারা করোনার এই সংকটের সময়েও সহিংসতার উসকানি যাচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা ভাসমান, ঘর-বাড়ি নেই, তাদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিতে হবে। এবং বিতরণের সময় সবাইকে একটি করে মাস্ক বাধ্যতামূলক দিতে হবে।’ সারাদেশে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ক্যাম্পেইনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয় প্রান্তে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল প্রমুখ।

আমারসংবাদ/জেআই