Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

করোনা ভাইরাসের টিকার নিবন্ধন বন্ধ

আমার সংবাদ ডেস্ক

মে ৫, ২০২১, ০৩:১০ পিএম


করোনা ভাইরাসের টিকার নিবন্ধন বন্ধ

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টিকার যোগানে ঘাটতি থাকায় প্রথম ডোজ টিকা দেয়া বন্ধ করার পর এবার টিকা নিতে নিবন্ধন বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার (৫ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আপাতত টিকার নিবন্ধন আমরা স্থগিত করেছি। আপনারা জানেন, টিকার চালান চুক্তিমত আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। যে কারণে আপাতত যাদের নিবন্ধন করা আছে তাদেরই টিকা দেয়া শেষ করতে চাই আমরা।

পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচীর নিবন্ধন বন্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, নতুন করে প্রথম ডোজের টিকা দেয়া যখন শুরু হবে, সেসময় আবার নিবন্ধন চালু করা হবে।

এর আগে গত ২৬ এপ্রিল করোনা ভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৫ মে পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৩১ লক্ষ ৬ হাজার ৭০৯ জন মানুষ। আর প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৮ লক্ষ ১৯ হাজার ৭৫৭ জন মানুষ। ভ্যাকসিন নিতে এ পর্যন্ত ৭২ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন মানুষ নিবন্ধন করেছেন।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভারতে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড দেয়ার মাধ্যমে একযোগে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়।

২০২০ সালে ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের সাথে যখন চুক্তি স্বাক্ষর হবার পর, গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত থেকে দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে।

এছাড়া ভারত সরকারের উপহার হিসাবে দিয়েছে ৩২ লাখ ডোজ। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে মোট এক কোটি দুই লাখ ডোজ টিকা।

সিরাম ইন্সটিটিউটের সাথে চুক্তি অনুযায়ী প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশে আসার কথা, কিন্তু গত দুই মাসে কোন চালান আসেনি। মূলত সিরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের ওপর নির্ভর করেই বাংলাদেশ টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছিল। কিন্তু সম্প্রতি ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে দেশটি থেকে টিকা আসার সম্ভাবনাও নাকচ করে দেয়া হয়েছে।

যে কারণে বাংলাদেশে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে প্রায় ১৩ লাখ ডোজ টিকার ঘাটতি রয়েছে বলে কয়েকদিন আগে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোঃ: খুরশিদ আলম।

এখন বাংলাদেশ সরকার বিকল্প হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ করছে।

আমারসংবাদ/জেআই