নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ৬, ২০২১, ০২:০০ পিএম
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে আদালতে সরাসরি উপস্থিতি ছাড়াই বন্দিদের কারাগারে রেখেই ভার্চুয়ালি শুনানির মাধ্যমে নিম্ন আদালত থেকে দু’দফায় এক লাখের বেশি বন্দিকে নিম্ন আদালত থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৫ মে) সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সুত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ১১ মে থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৭২,২২৯ জন এবং চলতি বছরের ১২ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত ২৭,৮৪৪ জনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দু’দফায় সর্বমোট ৭৪ কার্যদিবসে (প্রথমদফা ৫৮ কার্যদিবসে ৭২,২২৯ জন এবং দ্বিতীয়দফায় ২৭,৮৪৪ জন) এক লাখ ৭৩ জন হাজতীকে জামিন দেওয়ার পর তারা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গতবছর ২৪ মার্চ এক আদেশে দেশের সকল আদালতে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষনা করা হয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি সাথে মিলিয়ে এই ছুটি ঘোষনা করা হয়েছিল। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সরকার সাধারণ ছুটি কয়েকদফা বাড়িয়ে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনও সরকারের সঙ্গে তালমিলিয়ে আদালতের ছুটির মেয়াদ বাড়ায়। এ অবস্থায় ওইবছরের ১১ মে থেকে আদালতে সরাসরি উপস্থিতি ছাড়াই হাজতী বন্দিদের কারাগারে রেখেই ভার্চুয়ালি শুনানির মাধ্যমে নিম্ন আদালত থেকে জামিন দেওয়া শুরু হয়। যা চলে ওই বছরের ৪ আগস্ট পর্যন্ত। ওই সময়ে সারা দেশে নিম্ন আদালতে (শিশু আদালতসহ) ১,৪৭,৩৩৯টি ফৌজদারি মামলায় জামিন আবেদনে নিষ্পত্তি করে ৭২,২২৯ জনকে জামিন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে নিম্ন আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার কাজ শুরু হয়।
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারা দেশে আদালতে স্বাভাবিক বিচার কাজ বন্ধ রয়েছে। এই সময়ে জরুরী বিষয় শুনানির জন্য কিছু কিছু আদালত খোলা রাখা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে গত ১২ এপ্রিল থেকে আসামিদের কারাগারে রেখেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি জামিন শুনানি চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ মে পর্যন্ত ১৬ কার্যদিবসে ৫১,৮৮২টি মামলায় জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি করে ২৭,৮৪৪ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। পরে সকলেই কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
আমারসংবাদ/জেআই