নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ১০, ২০২১, ০৯:২০ এএম
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং জানিয়েছেন, দেশটির সিনোফার্মের করোনা টিকা বুধবার (১২ মে) বাংলাদেশে আসছে। প্রথম দফায় চীনের উপহার দেওয়া ৫ লাখ ডোজ টিকা আসবে।
সোমবার (১০ মে) ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সঙ্গে ভার্চুয়াল আলাপে এ তথ্য জানান চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ডব্লিউএইচও চীনের সিনোফার্ম টিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই টিকার ৫ লাখ ডোজ ১২ মে বাংলাদেশে আসবে। বাংলাদেশ সরকারও চীনা টিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে, এটি একটি দূরদর্শী সিদ্ধান্ত।
করোনা মহামারির এই সময়ে ঢাকা ও বেইজিংয়ের এই সহযোগিতা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন লি জিমিং।
লি জিমিং আরও বলেন, উপহারের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা বুধবার এলেও বাংলাদেশ বাণিজ্যিকভাবে যে টিকা আনতে চায় তা আসতে সময় লাগবে। চীনের টিকার চাহিদা অনেক দেশে আছে। তাই বাণিজ্যিকভাবে যেটা বাংলাদেশ পেতে চায়, সেই টিকা পেতে বাংলাদেশের সময় লাগবে। তাছাড়া বাংলাদেশ সিনোফার্মকে অনুমোদন দিয়েছে মাত্র এক সপ্তাহ আগে।
তিনি বলেন, চীনের উপহারের টিকার জন্য বাংলাদেশকে ৩ ফেব্রুয়ারি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। অথচ এই অনুমোদনের জন্য দীর্ঘ তিন মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে। পরে টিকা পেতে বাংলাদেশ ৩০ এপ্রিল প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ আগেই অনুমতি দিলে চীনের টিকা আগে পেত।
চীন ইতোমধ্যে ২০০ মিলিয়ন টিকা বিশ্বের ৮০ দেশে বিতরণ করেছে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট ‘কোয়াডে’ বাংলাদেশ যুক্ত হলে বাংলাদেশ ও চীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যথেষ্ট নষ্ট হবে। তাই এতে বাংলাদেশের অংশ নেওয়া ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ এখনই সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশও যোগাযোগ করতে পারছে না। পরিস্থিতি উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ আমাদের ধৈর্য ধরা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। প্রত্যাবাসনে দ্রুত আমরা কোনো ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা দেখছি না।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, জি টু জি কিংবা বাণিজ্যকভাবে চীন ও বাংলাদেশে টিকা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু শুধুমাত্র সিনোফার্ম কোম্পানিকে বাংলাদেশ সরকার জরুরি অনুমতি দেওয়ায় লম্বা সিরিয়ালের জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাও এ সিদ্ধান্ত নিতে বাংলাদেশ সময় নিয়েছে তিন মাস। ফলে এখন দ্রুত টিকা পাওয়ার সিরিয়ালে সামনে আসতে পারেনি বাংলাদেশ।
এক প্রশ্নের উত্তরে লি জিমিং বলেন, ‘তিস্তা রিভার কম্প্রিহেন্সিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশেন’ প্রজেক্টে ঋণ প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি বলে জানান রাষ্ট্রদূত। ফিজিবিলিটি স্ট্যাডিজ এর রেজাল্ট পেলে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে। তবে তিস্তা নিয়ে যে কোনো প্রকল্প করা বাংলাদেশের জনগণের অধিকার।
আমারসংবাদ/জেআই