জুন ১০, ২০২১, ০৭:৪০ এএম
গত কয়েকমাস ধরে বাড়তে থাকা তেলের দাম এখনো পড়েনি। শুধু তেলই নয় আবারো বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের দাম। পণ্যদ্রব্যের দামে নাকাল নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেনির ক্রেতারা। করোনায় একদিকে কমেছে আয় অন্যদিকে পণ্যের দাম বাড়তি রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ক্রেতারা বলছেন ২০২১-২২ বাজেটকে শুনেই ব্যবাসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভোজ্য তেলের ১ লিটার বোতলের দাম ১৫০-১৫৩ টাকা, ২ লিটারের বোতল ৩০৫-৩১০টাকা এবং ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭২৫টাকায়। লিটার প্রতি দাম বেড়েছে ১০-২৫টাকা। মসুর ডালের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৫-১০ টাকা। রসুনের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫টাকা। এছাড়া দাম বেড়েছে কাঁচা সবজির। পটল কেজি প্রতি ৫০টাকা, পেপের কেজি ৫০টাকা,ঢেড়সের কেজি ৪৫-৫০ টাকা, কাকরোলের কেজি ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিসের দাম ৫০-৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। মরিচের কেজি ৬০ টাকা ও টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে। যার প্রতিটি পণ্যের কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ১০-২০ টাকা।
এছাড়াও বয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। পাকিস্তানি লাল মুরগির প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা। বয়লার মুরগির দাম সপ্তাহখানেক ধরে অপরিবর্তিত থাকলেও পাকিস্তানি মুরগির পিস প্রতি দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা।
বাজারে নতুন করে যে চালের বস্তা এসেছে তার দাম ও কেজি প্রতি বাড়ানো হয়েছে ৫-১০ টাকা। বস্তা প্রতি ১৫০-২০০ টাকা। দোকানে থাকা পুরাতন চালও কেউ কেউ দাম ৫-১০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। আবার কোন কোন দোকানদার আগের দামেই বিক্রি করছে।
নতুন করে পন্যে দ্রব্যের দাম বাড়তি নিয়ে নাকাল সাধারণ ক্রেতা। নিম্নশ্রেনির মানুষের জন্য রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাছাড়া করোনায় আয় কমেছে হাজারো মানুষের।
বাজার করতে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, কয়েক মাস ধরে চালের চড়া দাম কিছুটা কম তবে তেল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনিসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের। একের পর এক জিনিসের দাম বেড়েই চলছে। কিন্তু বাড়েনি আয়। পরিস্থিতি এমন হয়েছে, নিম্ন আয়ের মানুষের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
পেশায় ট্রাক চালক এক ক্রেতা বলেন, আমাদের আয়-রোজগার এখন কমে গেছে। মাসে যেই টাকা কামাই তাদের ঘর ভাড়া দিতেই কষ্ট হয়। আর কয়দিন পরপর তেলের দাম, চালের দাম বাড়ে। আমাদের তো না খাইয়া থাকতে হইবো।
আবার অনেক ক্রেতাই বলেন, মুনাফাভোগী কিছু অসৎ ব্যবসায়ীদের জন্য বাজারে কৃত্রিম উপযোগ সৃষ্টি হয়। বেশি মুনাফা পাবার আসায় পণ্য গুদামজাত করে রাখে যার মাশুল দিতে হয় সাধারন ক্রেতাদের।
খুচরা বিক্রেতারা বলেন,পাইকারের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হয় তাই আমাদেরও একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। আমরা কম দামে কিনতে পারলে কম দামেই বিক্রি করি। দাম কমলে আমাদের জন্যও ভালো কারণ আমাদেরও তো সংসার আছে। আমরা তো ইচ্ছে করে দাম বাড়াই না।
আমারসংবাদ/জেআই