Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

কেনা হচ্ছে ৩০ অক্সিজেন প্ল্যান্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ৪, ২০২১, ০১:৪০ পিএম


কেনা হচ্ছে ৩০ অক্সিজেন প্ল্যান্ট

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনা মহামারিতে অক্সিজেন সংকট মেটাতে ৩০টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট কেনার অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ ৩০টি অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট কিনতে অর্থায়ন করবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

বুধবার (৪ আগস্ট) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, ৩০টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট কেনা হবে। আমরা পরবর্তীতে ক্রয় প্রস্তাবে এটা অনুমোদন দেবো। আগামী সভায় এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো।

ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ১১টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৫টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ২টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ২টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১১টি প্রস্তাবের মধ্যে ৯টিতে মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩৪২ কোটি ৮০ লাখ ২ হাজার ১৭৬ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৯১০ কোটি ৯৭ লাখ ২৮ হাজার ৬৯৯ টাকা এবং বিশ্বব্যাংক ও দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৪৩১ কোটি ৮২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৭৭ টাকা।

৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল ১৬০ কোটি ২২ লক্ষ ১১ হাজার ২০০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খাদ্য অধিদফতরকে ৩২০ কোটি ২৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪০ টাকায় ১টি স্টিল সাইলো ফর রাইস ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

‘ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-পাকশী-দাশুরিয়া জাতীয় মহাসড়কের কুষ্টিয়া শহরাংশ ফোর লেনে উন্নীতকরণসহ অবশিষ্টাংশ যথাযথ মানে উন্নীতকরণে ১৪৫ কোটি ৪৯ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৩ টাকায় ক্রয় প্রস্তাব পুনঃ মূল্যায়নের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১১১ কোটি ৫৯ লক্ষ ২৪ হাজার ৪৩৭ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের জন্য ১০ হাজার টন ফসফরিক এসিড ৫৭ কোটি ৩৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫১০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

‘ঢাকাস্থ মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ প্রকল্পের পূর্ত কাজে ১৬৪ কোটি ৭১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৮৮২ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

রেমিট্যান্সের যারা ৫০০ ডলারের কম পাঠান তাদের প্রণোদনা ১ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে বাড়াচ্ছি না। আমার মনে হয় ২ শতাংশ ইনসেনটিভ (প্রণোদনা) ঠিক আছে। ইনসেনটিভের ক্ষেত্রে রেভিনিউ এলাকায় নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে পারি কি-না সেটা আমরা দেখব। এর পরিসর যতটা বাড়ানো যায় ততোটা চেষ্টা করব। এখন আমরা ইনসেনটিভ বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করছি না। রেমিট্যান্সে ইনসেনটিভের হার একই দেয়া হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন যাদের আয় কম তাদের ইনসেনটিভ বাড়াতে, তবে আমাদের সেরকম চিন্তা-ভাবনা নেই। যে যে পরিমাণ আয় করবে তা বৈধপথে পাঠালে প্রণোদনা পেয়ে যাবে।

অন্যান্য কোন কোন খাতে ইনসেনটিভ দেয়া হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সেটা ভেবে দেখব। আমরা ভাবছি দেয়া যায় কি-না। যে যে খাতে দেয়া যাবে আমরা সেই খাতে দেব।

রেমিট্যান্সের টাকা নজরদারিতে রাখার বিষয়ে সিপিডির বক্তব্য প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, সিপিডি তো বলেছে আসবেই না। বেশি আসছে বেশি গেছে। আমরা যেভাবে চাচ্ছি, আমাদের রেমিট্যান্স যেগুলো বিদেশে উপার্জিত হয় তা দেশে আসুক, বৈধপথে আসুক। আগে বৈধপথে আসত, অন্যান্য পথেও আসত। এখন বৈধপথে আসাটায় এদের কোথায় আপত্তি আছে আমি জানি না। তারা কি দেখতে চাচ্ছে। যার কাছে টাকা আছে যে বিদেশে ব্যবসা বা চাকরি করেন তিনি তার টাকা দেশে পাঠাবেন। এতে সিপিডির বলার কি আছে, কার কি বলার আছে। আমরা যদি কোনো নিয়মনীতির মধ্য দিয়ে রেমিট্যান্স নিয়ে আসি সেটা তো দেশের জন্য ভালো বলে মনে করি।

আমারসংবাদ/জেআই