Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

করোনায় মাঠেই পচলো কোটি টাকার ফুল

আগস্ট ১১, ২০২১, ০৩:৩৫ পিএম


করোনায় মাঠেই পচলো কোটি টাকার ফুল

ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক, যা মানুষ ও জীবনের সুন্দর সময়গুলোকে রাঙিয়ে রাখে। ফুল পবিত্র সকল শুভ কাজ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে এর ব্যবহার অপরিহার্য। চাহিদা মত এ ভূ-খন্ডে ফুলের গুরুত্ব নানা কাজের সঙ্গে জড়িয়ে। ফুল এখন শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যই চাষ হয় না, বাণিজ্যিকভাবেও এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে। 

বর্তমানে আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের ফুল জন্মে। এ সব ফুলের মধ্যে রয়েছে, দোলনচাঁপা, কনকচাঁপা, অপরাজিতা জবা, মালতি, কামিনী, গোলাপ, গাঁদা, চামেলি, বেলি, জুঁই, শেফালি, রজনীগন্ধা, গন্ধরাজ, শেফালি, হাসনা-হেনা, চন্দ্রমলি্লকা, ডালিয়া ইত্যাদি। কিছু কিছু ফুল আছে দীর্ঘজীবী এবং কিছু মৌসুমী। সব ফুলেরই বাণিজ্যিকভাবে প্রায় সমান গুরুত্ব রয়েছে।

বুধবার (১১আগস্ট) সরেজমিনে শাহবাগের ফুলের আড়ৎগুলো ঘুরে দেখা যায়, ফুলের সব দোকান খোলা রয়েছে। আলাপকালে জানা যায়, ফুলের বিক্রয় বেড়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এতদিন দোকান বন্ধ ছিল। দোকান, শপিংমল খোলার কারণে আজ ফুলের চাহিদা রয়েছে অনেক। কিন্তু ফুলের সরবরাহ কম থাকায় দাম অনেক বেশী বলে ফুল ব্যবসায়ীরা জানান। 

প্রতি ঝোপা কাঠবেলী ১৫০-১৮০ টাকা, প্রতি ১০০ পিস গোলাপ ৫০০ টাকা, গাদা ফুল ও হলুদ প্রজাতি প্রতি ১০০ পিস ৩০০ টাকা, সাদা বেলী প্রতি ঝোপ ৩৫০-৪০০ টাকা, রজনীগন্ধা ৫০ পিস ২৫০ টাকা। এমন নানা জাতের ফুল সময়, রকম ও চাষ বেধে দরদাম ওঠানামা করে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি বাবুল প্রসাদ।

আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস ইত্যাদি খুলনা ও যশোরসহ কয়েকটি অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। উঁচু দো-আঁশ মাটি ফুল চাষের জন্য উপযোগী। মনে রাখতে হবে, ফুল চাষের জন্য জমি নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ ফুলের বীজ, চারা, কলম বা কন্দ আশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত রোপণের উপযুক্ত সময়।

নগরীর শাহবাগ দেশের সবচেয়ে বড় ফুলের পাইকারী বাজার রয়েছে।বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি ঢাকা তথ্যমতে, এবার করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়াতে কোটি টাকার ফুল কৃষকের মাঠে পচে শেষ। এই মৌসুমে ফুল যে পরিমাণ পচেছে বা নষ্ট হয়েছে তা অন্য কোন সময় এমনটা হয় নি।

শহরে বা গ্রামে বর্তমানে ভালো নার্সারিতে উন্নতজাতের বীজ, কলম ও চারা পাওয়া যায়। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে যোগাযোগ করলে চারা পাওয়া যায়।

জমির অভাবে দালানের ছাদে, বারান্দার টবে সৌখিন বা বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ করা যায়। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্নজাতের বা রঙের গোলাপ ও গাঁদা। এছাড়া ডালিয়া, রঙ্গন, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা, বিভিন্ন আর্কিড, নানাজাতের আকর্ষণীয় ক্যাকটাস ও বনসাই। বর্তমানে বাজারে এসবের ভালো চাহিদা রয়েছে। সময় বাঁচানো এবং নির্মল আনন্দের জন্য স্থায়ী ফুলের চাষ করা যেতে পারে।  

আমারসংবাদ/জেআই