Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

অল্পসময়ের মধ্যেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসবে: এলজিআরডি মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১, ০১:৪০ পিএম


অল্পসময়ের মধ্যেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসবে: এলজিআরডি মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম আশা প্রকাশ করেছেন, রাজধানীবাসীর সচেতনতা, সিটি কর্পোরেশনের পদক্ষেপ, ঋতুর পরিবর্তন ও সরকারের সম্মিলিত কার্যক্রমে আগামী এক মাসের মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। 

তিনি বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘ইইউ সাপোর্ট টু হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন টু দি পুওর ইন আরবান বাংলাদেশ’ প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছেন। সকাল-বিকেল নিয়মিত স্প্রে করা হচ্ছে। এডিস মশার প্রজনন ধ্বংস করার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। আমি আশা করি, মাসখানের মধ্যেই এডিস মশার প্রাদুর্ভাব একটি সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগ একটি গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ। শুধু বাংলাদেশই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে না, এশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করছে। ডেঙ্গু মোকাবেলায় যে সকল দেশ সফলতা পেয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা এবং আমাদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।

তাজুল বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে প্রতি বছর দশ কোটি থেকে ৪০ কোটি পর্যন্ত মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় এবং সাত লাখের বেশি মানুষ মারা যায়। ২০১৯ সালে আমাদের দেশে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারন করলেও ২০২০ সালে এটিকে আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছিলাম।

গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ুর প্রভাব থাকলেও সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে লকডাউন এবং ঈদের ছুটি। এ সময় অনেকেই বাসা বাড়ি ছেড়ে নিজ এলাকায় যাওয়ায় এবং নির্মাণ শ্রমিকরা ছুটিতে থাকায় এডিস মশার প্রভাব কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। মে-জুন থেকে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত এডিস মশার প্রকোপ বেশি থাকে। কারণ এসময় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মরণ কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী এবং বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধি মারিজিও চিয়ান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

রোহিঙ্গা প্রত্যার্বতনে পাশে থাকবে জার্মানি

এদিন বিকেলে জার্মানির রাষ্ট্রদূত মি. আচিম টোস্টার মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে জার্মানি বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকবে বলে তাজুল ইসলামকে জানান জার্মানির রাষ্ট্রদূত।

তাজুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে হত্যা, নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হওয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বলে মনে করে জার্মান সরকার। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে দেশটি। এই সমস্যা সমাধানে তারা সবসময় বাংলাদেশ সরকারের পাশে থেকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের জনমত আদায়ে ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। 

সায়েদাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ফেইজ-৩ বাস্তবায়নে জার্মান সরকারের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতেও যেকোন উন্নয়ন প্রকল্প যা মানুষের জন্য কল্যাণকর সেগুলোতে সহযোগিতা কামনা করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের অবকাঠামোগত, খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জার্মান সরকার বাংলাদেশের পাশে সবসময় আছে এবং থাকবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন খাতে জার্মানির সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান আচিম টোস্টার।

এসময় মন্ত্রী এবং জার্মান রাষ্ট্রদূত উভয় দেশের বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

সাক্ষাতকালে, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মরণ কুমার চক্রবর্তী ও মুহাম্মাদ ইব্রাহিম এবং যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ নুরে আলম সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

আমারসংবাদ/জেআই