নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ১৫, ২০২১, ০৯:৫৫ এএম
জুমার নামাজের পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম থেকে ‘মালিবাগ মুসলিম সমাজ’ ব্যানার নিয়ে মিছিল বের করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে কয়েকশ লোক। পরে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড়ের কাছে পুলিশ বাধা দিলে মিছিলকারীরা দুই ভাগ হয়ে যায়। তাদের একটি অংশ বিভিন্ন অলিগলিতে ঢুকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে শুরু করে।
পুলিশ তখন বিভিন্ন গলির মুখে অবস্থান নেয় এবং শিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আহাদ বলেন, বিক্ষোভ মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা সেখানে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষের সময় গুলিস্তান ও পল্টন এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। কাকরাইল ও বিজয়নগরের বিভিন্ন গলিতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। প্রধান সড়কে পুলিশের এপিসি ও জলকামানের গাড়িও দেখা যায়।
এদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় মিছিল থেকে বিশৃঙ্খলার চেষ্টাকালে কয়েকজনকে আটক করেছে ডিবি ও পুলিশ।
শুক্রবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে দুজনকে আটক করে ডিবি। এর আগে পুলিশের হাতে আটক হন তিনজন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপ্রীতিকর ঘটনা বা বিশৃঙ্খলা এড়াতে জুমার নামাজের আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যের অবস্থান দেখা যায়।
সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বায়তুল মোকাররম এলাকায় যারা বিশৃঙ্খলায় জড়িত, তারা কোনো দলের নেতৃস্থানীয়। আর যারা আটক হয়েছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এছাড়াও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে নামাজ শুরুর আগে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এক আনসার সদস্যের সঙ্গে মুসল্লিদের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে মুসল্লিরা ধাওয়া দিলে পালিয়ে যান ওই আনসার সদস্য।
নামাজ শুরুর আগে বায়তুল মোকাররমের উত্তরের তিনটি গেটের একটি গেট আনসার সদস্য বন্ধ করতে যান। এ সময় নামাজের জন্য সেখানে বসা মুসল্লিরা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা নামাজ পড়তে এসেছি এখানে, তাহলে গেট কেন বন্ধ করা হচ্ছে।
জবাবে ওই আনসার সদস্য বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত কোনো সিদ্ধান্ত না। মতিঝিল পুলিশের ডিসির নির্দেশে আমি গেট বন্ধ করতে এসেছি।
এ নিয়ে কিছুক্ষণ বাগবিতণ্ডার পর ওই আনসার সদস্যকে ধাওয়া দেন নামাজের অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিরা। তখন ওই আনসার সদস্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের গেট দিয়ে একটি কক্ষ ঢুকে সেটা বন্ধ করে দেন। পরে গেটের কাছ থেকে পুলিশ সদস্যরা সরে এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
আমারসংবাদ/জেআই