Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

স্বাস্থ্য খাতে ৪১৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ছে

মো. মাসুম বিল্লাহ

জুন ৯, ২০২২, ০৫:৪৬ পিএম


স্বাস্থ্য খাতে ৪১৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ছে

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলা ও পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যখাতের সার্বিক উন্নয়নকে অগ্রাধিকারে রেখে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ খাতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এবার স্বাস্থ্যখাতে ৩৬ হাজার ৮৬৩ টাকা কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ছিল ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। চলতি বছরের চেয়ে আগামী অর্থবছরে ৪ হাজার ১৩২ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকাল ৩টায় বাজেট উপস্থাপনাকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই তথ্য জানান।

বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে নেওয়া উদ্যোগগুলো আমরা আগামী অর্থবছরেও অব্যাহত রাখব। মহামারি মোকাবিলায় গৃহীত কার্যক্রমসহ করোনা পরবর্তী সময়েও চলমান থাকবে।

স্বাস্থ্যখাতের সার্বিক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হচ্ছে। এধারা অব্যাহত রাখতে আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৩৬ হাজার ৮৬৩ টাকা কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা আগের বাজেটের শতকরা ১১ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি।

মুস্তফা কামাল আরও বলেন, ‘৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ৬টি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ের উন্নয়ন পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘মানবস্বাস্থ্য, আত্মবিশ্বাস, কর্মসংস্থান, আয় ও অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে কোভিড-১৯ থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার’। বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে জনগণের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা, অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক রেখে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সরকার নিরন্তর বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করাই হবে সরকারের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য।’

‘সরকার বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ এ গড় আয়ুষ্কাল ৮০ বছরসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন এবং জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ২০১১ এর কর্মকৌশল অনুযায়ী সর্বস্তরের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নানাবিধ কৌশল গ্রহণ করছে। এর মধ্যে ৪র্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি গ্রহণ, হেলথ কেয়ার ফাইন্যান্সিং স্ট্রাটেজি (২০১২-২০৩২) প্রণয়ন অন্যতম।’

ইএফ

Link copied!