Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

গুলশানে গুলি

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মো. মাসুম বিল্লাহ

জানুয়ারি ১৬, ২০২৩, ০১:২৩ পিএম


স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ব্যবসায়িক লেনদেনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরে রেস্টুরেন্টের সামনে অস্ত্র উঁচিয়ে প্রকাশ্যে গুলির ঘটনায় ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

ঘটনায় আহত আমিনুল ইসলাম সোমবার সকালে ওই মামলাটি করেন।

গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাকির মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গুলির ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টু, আরিফ হোসেন ও মনির আহমেদ। এজাহারভুক্ত অন্য দুজন হলেন- শরিফুল ও হুমায়ুন। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক।

গুলিবিদ্ধ আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এজাহারভুক্ত গ্রেফতার তিনজনকে আদালতে পাঠানো হবে। বাকি দুজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন এসআই শাকির।

এর আগে রোববার (১৫জানুয়ারি) বিকালে গ্লোরিয়া জিন্স রেস্টুরেন্টের সামনে গুলির ঘটনা ঘটে।

ঘটনার কারণ বর্ণনা ডিএমপি গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ বলেন, একটি বিকাশের দোকান থেকে টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আবদুল আহাদ ঘটনার বিষয়ে বলেন, বিকাল আনুমানিক ৪টার দিকে গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের পাশে আলফা স্টোর নামে একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকানে আরিফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি ৭৫ হাজার টাকা বিকাশ করেন। প্রথমে তিনি দোকানদারকে বলেন, আপনি ৭৫ হাজার টাকা বিকাশ করেন আমি টাকা দিচ্ছি। দোকানদার বিকাশ করার পর আর তিনি টাকা দিচ্ছিলেন না। যেহেতু টাকা দিচ্ছিলেন না, তখন দোকানদার তাকে আটক করে বলেন, তুমি টাকা না দিয়ে যেতে পারবে না। একপর্যায়ে আটক আরিফ তার ভগ্নিপতি মনির আহমেদকে ফোন করেন। ফোন পেয়ে মনির হোসেন ৪-৫ জন বন্ধুকে নিয়ে ফ্লেক্সিলোডের দোকানে আসেন এবং টাকা না দিয়েই আরিফকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আশপাশের দোকানদাররা এসে বলেন, টাকা না দিয়ে আরিফকে নেওয়া যাবে না।

একপর্যায়ে মনিরের সঙ্গে আসা আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টু তার সঙ্গে থাকা লাইসেন্স করা অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি সাত-আট রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এ সময় আমিনুল ইসলাম নামের এক গাড়িচালক গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া আব্দুর রহিম নামের একজন ভ্যানচালকের পায়েও গুলি লাগে। এ সময় পাশে টহলরত পুলিশ সদস্যরা আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টুকে অস্ত্রসহ আটক করেন।

গুলির ঘটনার আগে দুপক্ষ বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা জানান এ সময় এক ব্যক্তি হঠাৎ করেই সেখানে ফিল্মি স্টাইলে অস্ত্র উঁচিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। ঝামেলা দেখে সাধারণ মানুষ ঘটনাস্থলের দিকে এগোন। তখন সে এলোপাতাড়ি গুলি করে।

যেই অস্ত্রটি দিয়ে গুলি করা হয় সেটি লাইসেন্স করা। ২০১৬ সালে অস্ত্রটির লাইসেন্স নেওয়া হয়। এখনও সেটির মেয়াদ আছে। ঘটনার পর অস্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

আরএস

Link copied!