ঢাবি প্রতিনিধি
মার্চ ৮, ২০২১, ০৭:১৫ এএম
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের অনলাইন ভর্তি আবেদন সোমবার (৮ মার্চ) বিকাল পাঁচটা থেকে শুরু হচ্ছে। চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। সোমবার (০৮ মার্চ) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসে অনলাইন ভর্তি আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া উদ্ধোধন করবেন।
ভর্তিচ্ছুরা শিক্ষার্থীরা সোমবার বিকাল ৫টা থেকে ৩১ মার্চ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। চলতি বছর মোট পাচটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সেগুলো হল- ক-ইউনিট, খ-ইউনিট, গ-ইউনিট, ঘ-ইউনিট এবং চ ইউনিট।
তার মধ্যে ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২১ মে, খ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২২ মে, গ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ২৭ মে, ঘ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৮ মে এবং চ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
আবেদন যোগ্যতা:
ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে 'ক' ইউনিটের জন্য মাধ্যমিক ও সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.৫ (আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫), 'খ' ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.০ (আলাদাভাবে ৩.০), 'গ' ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.০ ( আলাদাভাবে ৩.৫), 'ঘ' ইউনিটের জন্য মানবিক শাখার ক্ষেত্রে জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.০ (আলাদাভাবে ৩.০) ও বিজ্ঞান শাখার ক্ষেত্রে জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.৫ (আলাদাভাবে ৩.৫) এবং 'চ' ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.০ (আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০) থাকতে হবে।
পরীক্ষার মানববণ্ঠন:
'ক', 'খ', 'গ' ও 'ঘ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। শুধুমাত্র 'চ' ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয় হবে। 'ক', 'খ', 'গ' ও 'ঘ' ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। 'চ' ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
অলাইনে ভর্তির প্রাথমিক আবেদনের জন্য আবেদনকারীর করণীয়:
সমতা নিরূপনের জন্য:
এ-লেভেল/ও-লেভেল/সমমান বিদেশী পাঠক্রমে বা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সমতা নিরূপনের জন্য https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েব সাইটে গিয়ে ''সমমান আবেদন'' বা "Equivalence Application" মেনুতে আবেদন করে তাৎক্ষনিকভাবে অনলাইনে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে। সমতা নিরূপনের পর প্রাপ্ত "Equivalence ID" ব্যবহার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মত তারা একই ওয়েবসাইটে লগইন করে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে।
কোটায় ভর্তি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীর ওয়ার্ডকোটা (কেবল ছেলে/মেয়ে/স্বামী/স্ত্রী) উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি, হরিজন ও দলিত সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধি (দৃষ্টি, বাক, শ্রবণ ও শারীরিক) ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/মুক্তিযোদ্ধার নাতি/নাতনীসহ, খেলোয়াড় (শুধুমাত্র বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) থেকে এইচ এস সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র/ছাত্রীদের) কোটায় ভর্তি প্রার্থীদেরকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে ঐ ইউনিটের ডিন অফিস থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদর্শন পূর্বক নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করতে হবে।
উপরোক্ত কোটার নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করে তা যথাযথভাবে পূরণ করে যে কোটায় ভর্তি হতে ইচ্ছুক তার প্রত্যয়নপত্র/সনদপত্র/ প্রমাণপত্র সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানের অফিসে অফিস চলাকালীন সময়ে জমা দিতে হবে।
যাদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত সনদ নেই কিন্তু সনদের জন্য আবেদন করেছে তাদের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। তবে ভর্তির জন্য চূড়ান্ত নির্বাচনের পূর্বে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত সনদপত্র জমা দিতে হবে।
পরীক্ষার্থীদের প্রতি নির্দেশনা:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সব ইউনিটের ভর্তি–ইচ্ছুক প্রার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসংবলিত ঘড়ি ও কলম ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
ওয়েবসাইটে প্রদত্ত ভর্তি-নির্দেশিকায় উল্লেখ নেই—ভর্তিসংক্রান্ত এমন কোনো তথ্য জানতে হলে সংশ্লিষ্ট ইউনিট কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
আমারসংবাদ/এআই