Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীকে জাবি শিক্ষার্থীর মারধর

জুন ১২, ২০২১, ০৫:১০ পিএম


দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীকে জাবি শিক্ষার্থীর মারধর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত এক নিরাপত্তা কর্মী। মারধরের শিকার নিরাপত্তাকর্মীর নাম ফয়সাল কবির।

শনিবার (১২ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমবাগান-সংলগ্ন ফটকে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মনোয়ার হোসেন হিমেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (সিএসই) ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আমবাগান-সংলগ্ন ফটক দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী। এসময় ফটকের দুটো অংশ খুলে দিতে নিরাপত্তাকর্মীকে নির্দেশ দেন ছাত্রলীগ কর্মী হিমেল।

তবে গেটের দুই অংশ খোলা যাবে না বলে জানান কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মী ফয়সাল কবির। এসময় গেট খুলতে বাধ্য করতে নিরাপত্তা কর্মীকে মারধর করা শুরু করেন ছাত্রলীগ কর্মী হিমেল।

পরবর্তীতে গেট খুলে দেয়া হলেও আরও লোকজন নিয়ে নিরাপত্তাকর্মী ফয়সালকে মারধর করতে আসেন হিমেল। এসময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও একাধিক শিক্ষকদের উপস্থিতিতে বিষয়টি তাৎক্ষণিক সমাধান করে দেয়া হয়।

এদিকে বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মারধরের শিকার নিরাপত্তাকর্মী ফয়সাল কবির।

তিনি বলেন, গেটের দুই অংশ খুলে দিতে বলার পর আমি তাকে বললাম যে একটি অংশ খোলা যাবে। কিন্তু হঠাৎ করে তিনি আমার বাবা-মাকে নিয়ে গালাগালি শুরু করে এবং আমাকে মারধর করেন।

অভিযুক্ত মনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ক্যাম্পাসে ঢুকতে চাচ্ছিলাম, তখন গেটের একটা অংশ খোলা ছিল। আমি গার্ডকে গেটের দুই অংশ খুলে দিতে বলি, কারণ গেইটের যে অংশ খোলা ছিলো সেখানে কর্দমাক্ত ছিলো। ফলে আমি বাইক নিয়ে যেতে পারছিলাম না। কিন্তু তিনি খুলেন নাই, পরে আমার মাথা গরম হয়ে গেছিল। তখন একটা থাপ্পড় দিয়ে ফেলেছি।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যসহ একাধিক শিক্ষক ও আমার অভিভাবক ছাত্রলীগের মুরাদ ভাই, সবুজ ভাই, সৈকত ভাইয়ের উপস্থিততে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে কোলাকুলি করে নেই। তখনি ঘটনাটির সমাধান হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. শরীফ মিয়া বলেন, এ ঘটনায় আমরা কষ্ট পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্যই আমরা কাজ করি। দায়িত্ব পালনকালে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এভাবে মারধরের ঘটনায় উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।

সহকারী রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল বলেন, বিষয়টি রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরকে জানিয়েছি। তার যথাযথ শাস্তি দাবি করছি।

আমারসংবাদ/এআই