পবিপ্রবি প্রতিনিধি
জুলাই ২৬, ২০২১, ০৬:৩৫ এএম
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে নরসিংদী জেলা সদরের বাসাইলে এক মনোরম পরিবেশে অবস্থিত আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ। নরসিংদীর বিশিষ্ট শিল্পপতি জনাব আবদুল কাদির মোল্লা নিজ নামে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই কলেজ।
২০০৬ সালে ৮৬ জন পরিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে ২৪২৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজের কার্যক্রম চলছে। তিন বিভাগে ৭৫ জন শিক্ষক সহ ৪৪ জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন কলেজে।
কলেজটিতে রয়েছে আধুনিক কারুকার্যে সুসজ্জিত একটি দ্বিতল প্রশাসনিক ভবন সহ চারটি একাডেমিক ভবন, একটি সুবিশাল পাঠাগার, নামাজ ঘর, ক্যান্টিন, অতিথি কক্ষ ও একটি কমন রুম রয়েছে। আরও রয়েছে আইসিটি ল্যাব এবং প্রতিটি বিষয়ের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতির সমৃদ্ধ বিজ্ঞানাগার এবং শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাসের সুব্যবস্থা।
ছাত্র-ছাত্রীদের থাকার জন্য একটি ছাত্রাবাস এবং তিনটি ছাত্রীনিবাস রয়েছে যা শিক্ষকদের কঠোর নিয়মের মধ্যে পরিচালিত হয়।হোস্টেলে অবস্থিত ছাত্রছাত্রীদের ২৪ ঘন্টা খেয়াল রাখার পাশাপাশি অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বাড়িতে ভিজিটের মাধ্যমে তাদের পড়াশোনার অগ্রগতিও শিক্ষকমণ্ডলীরা পর্যবেক্ষণ করেন প্রতিনিয়ত।
ছাত্র-শিক্ষকদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং শিক্ষক ছাত্রদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই কলেজ শুরু থেকেই সাফল্যের দেখা পেয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১২ ,২০১৩ এবং ২০১৪ সালে কলেজটি পুরো বাংলাদেশে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। এছাড়াও ১২ বছর ধরে শতভাগ পাশের এক নজিরবিহীন রেকর্ড করেছে কলেজটি।
কলেজটির সূচনাকাল থেকে পাস করা হাজার হাজার শিক্ষার্থী কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে তাদের আপন মহিমায়। দেশে এবং দেশের বাহিরে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অধ্যয়নরত আছে কলেজটি থেকে পাস করা মেধাবী শিক্ষার্থীরা এবং সেখানেও তাদের কৃতিত্বের স্বাক্ষর বইয়ে নিয়ে আসছেন।কলেজের ভাবমূর্তিকে নিয়ে গিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়।
[media type="image" fid="134109" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]
বর্তমানে কলেজটির অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন দেশসেরা শিক্ষাবিদ মো. মাহমুদুল হাসান রুমি। তার সুনিপুন দক্ষতায় সফলতার সাথে কলেজটিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং তার নেতৃত্বে কলেজটি উত্তরোত্তর সফলতার দেখা পাচ্ছে।
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির জন্য বাসায় বসে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস করে পড়াশোনায় যা ঘাটতি থাকছে তা পূরণের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের এলাকায় স্বাস্থবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে পড়াশোনার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
আমারসংবাদ/এআই