Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

ইউপি নির্বাচনে সংঘাত এড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬, ০৯:৩৫ এএম


ইউপি নির্বাচনে সংঘাত এড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূলে দারুণ সাড়া পড়েছে। বাংলাদেশে যেকোনো নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম নয়। এবারের ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবেন। প্রথম দফায় ৭৩৯ ইউনিয়নের নির্বাচন ঘিরে সব ইউনিয়ন পরিষদেই টান টান উত্তেজনা। দলীয় প্রতীক ও মনোনয়নে নির্বাচন হওয়ায় তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যস্ততা বেড়েছে। তৃণমূল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন করে পাঠানো হয়েছে জেলায়। জেলা থেকে কেন্দ্রে, কেন্দ্র থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ফিরে গেছেন প্রার্থীরা। দলীয় মনোনয়নের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচন করা যাবে। অন্যদিকে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলেই রয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থী। কিছুদিন আগে সম্পন্ন হওয়া পৌর নির্বাচনে আমরা বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রভাবও প্রত্যক্ষ করেছি। প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে তৃণমূলে অসন্তুষ্টি থাকবে। দীর্ঘদিন দলের জন্য কাজ করেও মনোনয়ন না পেলে অনেকেই ক্ষুব্ধ হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা ইউনিয়ন পরিষদে বেড়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত সবারই রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা থাকে। আবার দলে উচ্চাভিলাষীদেরও অভাব নেই বলে মনে হয়। তাই দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে না কেউ। আবার দলীয় মনোনয়ন বিক্রি করার খবরও এসেছে গণমাধ্যমে। কোথাও কোথাও ভিন্ন দল থেকে লোক ভাগিয়ে এনে প্রার্থী করা হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দলের অভ্যন্তরেই অসন্তোষ রয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে তৃণমূলে অসন্তোষ এরই মধ্যে দানা বাঁধতে শুরু করেছে। মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর অসন্তোষ  প্রকাশ্যে রূপ নিতে পারে। প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা কোথাও কোথাও মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে ফেললেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। এ অবস্থায় শুরুতেই রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। দলীয় পরিচয়ে কোনো প্রার্থী যেন গোলযোগ-সংঘাতের সঙ্গে জড়িয়ে না পড়েন, সেদিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে। কোনোভাবেই উস্কানি দেওয়া যাবে না। অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নির্বাচন কমিশনকেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যেকোনো গোলযোগ-সংঘাত দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখতে হবে। সংঘাত হতে পারে, এমন কেন্দ্র আগে থেকেই চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে নির্বিঘ্নে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। নির্বাচন কমিশন সংঘর্ষমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।