Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

দেশের শান্তিরক্ষায় আইন শৃংখলা বাহিনী ও দেশ রক্ষায় সেনাবাহিনী

জানুয়ারি ২৮, ২০১৫, ০৬:৪৭ এএম


দেশের শান্তিরক্ষায় আইন শৃংখলা বাহিনী ও দেশ রক্ষায় সেনাবাহিনী

৮০’র দশকের প্রখ্যাত সাংবাদিক বিশিষ্ট টিভি ব্যক্তিত্ব মাওলানা ভাসানীর একান্ত সহচর ও রাজনৈতিক অনুসারী শ্রদ্ধাভাজন মরহুম ফজলে লোহানী ১৯৮০ সালে টাঙ্গাইলের সন্তোষস্থ ভাসানীর মাজার সংলগ্ন ঐতিহাসিক দরবার হলে ভাসানী অনুসারী, মুরীদ ও ভক্তদের একমিলন মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে বলেছিলেন, একটি কথাও সিদ্ধান্তের মারপ্যাচে যেমন দেশের বিশাল অর্থবহ কল্যাণ, স্থিতিশীলতা, জাতীয় ঐক্য বয়ে আনে তেমনি একটি উক্তি বা মন্তব্য (ঈড়সবহঃ) দেশ, জাতি ও জনগণের জন্য বড় ধরনের সর্বনাশ, অকল্যাণ ও বিপর্যয় ডেকে আনে। এ জন্যেই দেশ চালিকার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নীতি নির্ধারকদের এসব কিছু লক্ষ্য রেখেই সতর্কতার সাথে কথা, অভিমত, উক্তি ও মন্তব্য করার পরামর্শ ব্যাক্ত করেছিলেন তিনি। যার সূত্র ধরেই এ কলামের শুরুতেই আলোকপাত।
২০/১/১৫ ইং মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে অবরোধ সহিংসতায় দগ্ধ রোগীদের দেখতে এসে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেছেন, এখন আর কোর্টের, আদালতের বিচার দরকার নাই। দু®কৃতিকারীদের দেখামাত্র গুলি করার ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ঘোষণা করতে চাই, এদের সুট অ্যাক্ট সাইটের মাধ্যমে কঠোরভাবে দমন করা হবে। এ ব্যাপারে তখন বেসরকারী টেলিভিশনের এক সাংবাদিক দেখামাত্র গুলি করলে, নিরপরাধ মানুষ মারা যাওয়ায় সম্ভাবনা থাকে কিনা প্রশ্ন করলে মন্ত্রী রাগত স্বরে বলেন, আপনি কি তাদের ডিফেন্ড করতেছেন, কী করে আপনি এ ধরনের প্রশ্ন করেন? পরে মন্ত্রী বেড়িয়ে যাওয়ার সময় ওই সাংবাদিক কে সান অব রাজাকার গালি দেন।

 প্রশ্ন হলো বাস, ট্রেন, ট্রাকে পেট্রোল বোমা মেরে নিরপরাধ নারী পুরুষ এমনকি কোলের শিশুকে নৃশংস, নির্মম ও অমানবিকভাবে জ্বলসিয়ে মারার ব্যাপারে দেশে সংবিধানের আদলে শাস্তি ও বিচারের জন্য কোর্ট আদালত, আইন, প্রশাসন  ও বিচার বিভাগ রয়েছে। তবে কোন মতেই কাহাকেও গুলি করে মারার বিধান সংবিধানে নেই। এ ব্যাপারে যথাযত আইনে সংবিধানের বাহিরে যাওয়ায় ও কোন সুযোগ নেই। সব কিছু হওয়া উচিত আইন, কোর্ট, আদালত ও সাংবিধানিক প্রবিধানের মাধ্যমে। প্রচলিত আইন, সংবিধান ও কোর্টকে পাশ কাটিয়ে কোন কিছু করা হলেই দেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয় এবং দেশে আইন, প্রশাসন, বিচার শাসন বলতে কিছুই থাকে না। যা সংগত কারণেই গণতন্ত্রের স্থলে স্বৈরতš,¿ অরাজকতাতন্ত্র ও এক নায়কতন্ত্রের দিকে ধাবিত হয়। এ জন্যই গ্রীক দার্শনিক এ্যারিষ্টটল তার বিখ্যাত পলিটিক্স গ্রন্থে বলেছেন, ‘‘ঞড় ষরাব নু ঃযব ৎঁষব ড়ভ ঃযব পড়হংঃরঃঁঃরড়হ ড়হ ড়ঁমযঃ হড়ঃ ঃড় নব ৎবমধৎফবফ ধং ংষধাবৎু, ইঁঃ ৎধঃযবৎ ধং ংড়ষাধঃরড়হ, অর্থাৎ সংবিধান মেনে চলা কোন দাসত্ব নয় । তা মেনে চলাই বরং মুক্তির পথ। সংবিধান ও আইনপ্রনেতারা আরো বলেছেন, আইন ও আদালত নিজস্ব গতিতে চলে। এখানে হস্তক্ষেপের কারো কোন সুযোগ নেই। এর মধ্যে যে কোন হস্তক্ষেপ অগণতান্ত্রিক, অসংবিধানিক, বেমানান ও কালিমা লেপনেরই নামান্তর। যার প্রেক্ষাপটে মাজদার হোসেন মামলার ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথকীকরণের রায় ঘোষণা করা হয়। তবে ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর তা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের রায় কার্যকর করা হয়। দুদিন আগে পরে হলেও, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে স্বতন্ত্রীকরণ বা পৃথক করতেই হয়েছে। তাছাড়া সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে যা ইচ্ছা তা করে দুনিয়ার পরাক্রমশালী রাজা বাদশাহ, রাষ্ট্রপতি কেহই টিকে থাকতে পারেনি।

 পাকিস্তানের  রক্ত পিপাসু জল্লাদ জেনারেল টিক্কা খান ৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঔদ্ধত্যপূর্ণ হুংকারে বলেছিল, আমাকে ৭২ ঘন্টা সময় দেয়া হোক, আমি সন্ত্রাসীদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) নির্মূল করে পূর্ব পাকিস্তান ফিরিয়ে দেবো। (এরাব সব ংবাবহঃু ঃড়ি যড়ঁৎং ঃরসব ধহফ ও রিষষ মরাব নধপশ ঊধংঃ চধশরংঃধহ ভৎবব ভৎড়স ধষষ ংযধফবং ড়ভ সরংপৎবধহঃ) অপর নরঘাতক পাকহানাদার রাওফরমান আলীর নিজ হাতে লেখার নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, পূর্ব পাকিস্তানের সবুজ চত্তরকে লালরঙ্গে রঞ্জিত করে দিতে হবে। (ঞযব মৎববহ ড়ভ ঊধংঃ ঢ়ধশরংঃধহ রিঃয যধাব ঃড় নব ঢ়ধরহঃবফ ৎবফ.) বাস্তবে জনগণের আন্দোলন ও ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এসব কিছু তকমা ও হুংকার ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়। পরিণতিতে ৯৩ হাজার পাক বাহিনী ও ১৯৫ জন যুদ্ধপরাধী পাকবাহিনী  ইন্ধিরা-ভূ্েট্টার সিমলা চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধপরাধী ও পরাজিত নিন্দুকেরা পাকিস্তানে পাড়ি জমায়। যে কারণে আজো বিচার বহির্ভূত পাক নররাক্ষসদের বিচারের দাবী চলে আসছে। এ প্রসঙ্গে একজন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ বলেছেন, ফ্যাসিবাদী অগণতান্ত্রিক নিষ্টুর শাসকেরা ক্ষমতার দম্ভে মদমত্ত ও অন্ধ হয়ে যায়। তাই ইতিহাসের শিক্ষা তারা নেয় না। (ঞযধঃ হড় নড়ফু ঃধশবং ষবংংড়হ ভৎড়স যরংঃড়ৎু রং রঃংবষভ ষবংংড়হ ড়ভ যরংঃড়ৎু) কেউ যে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না, সেটাই ইতিহাসের শিক্ষা যেমন সম্রাট অশোক সিংহাসনের জন্য ৯৯ জন জ্ঞাতি ভ্রাতাকে হত্যাকারে এবং আরঙ্গজেব পিতা শাহজাহানকে বৃদ্ধ বয়সে ১৬ মাস আগ্রার কারাগারের নির্মম প্রকোষ্টে বন্দী করে রাখে। এসব কিছুই ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেয়ারই ফল। দেশের আইন, প্রশাসন, শাসন, বিচার ও অন্যান্য পর্ষদের মতো সেনাবাহিনীকে দেশের একটি সাংবিধানিক অর্গান। তবে সরকারের সাংবিধানিক আদেশ ও নির্দেশ মোতাবেক দেশ জাতি ও জনস্বার্থে সেনাবাহিনী অর্পিত দায়িত্বের বাহিরেও অনেক বেশতি কিছু দায়িত্ব পালন করে থাকে। যদিও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় দেশের স্বাধীনতা, স্বার্ভভৌমিক ও বর্হিশত্রুর আক্রমন  থেকে দেশ রক্ষাই তাদের দায়িত্ব সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪১- ক (১) রাষ্ট্রপতির নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতিয়মান হয় যে, যাহাতে যুদ্ধ বা বহিরাক্রমন বা অভ্যন্তরীন গোলযোগের দ্বারা বাংলাদেশ বা উহার যে কোন অংশের নিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক জীবন বিপদের সম্মুখীন তাহা হইলে তিনি একশত বিশ দিনের জন্য জরুরী অবস্থা ঘোষণা করতে পারিবেন। তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ ঘোষণা বৈধতার জন্য পূর্বেই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষর প্রয়োজন হইবে।

সংবিধানের এ ধারাবাহিকতার আদলে ১৯৭৪ সালে দ্বিতীয় বিপ্লবের নামে কম্বাইন্ড, অপারেশনে ২০০২ সালে অপারেশন ক্লিনহার্ট এবং ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের আগমন ঘটে। ১৮/১/১৫ ইং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, যৌথবাহিনী বলতে যদি সেনাবাহিনী বলেন, আমি বলব না।

 প্রশ্নই আসেনা সেনাবাহিনী মাঠে নামানোর মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। তিনি বলেন, দেশের আইন শৃংখলারক্ষা বাহিনী জানমাল ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আন্তরিকতা ও বিশ্বস্থতার সঙ্গে কাজ করছে। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিতো আছেই।
লক্ষ্যনীয় যে পুলিশ বাহিনী জনবল থেকে শুরু করে স্বকীয় ও স্বাধীন বাহিনী হলেও, এ্যালিট ফোর্স র‌্যাব এবং বিজিবিতে ডিপুটেশনে এমনিতেই সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।


বর্হিশত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর উপর ন্যাস্ত থাকলেও দেশের আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রন ও রক্ষা সেনাবাহিনীর কাজ নয়। যদিও জাতীয় স্বার্থে সুষ্ট ভোটার তালিকা আইডিকার্ড, ভিজিডি কার্ড বিতরণ, টিআরকাবিখার হরিলুট বন্ধে ব্যবস্থা, ওয়াসার পানি বন্টন, ট্রাফিক যানযট নিরসন, চট্টগ্রামের পাহাড় ধস, জন দুর্ভোগ নিরসনে ত্বরিত কালভার্ট, সেতু, রাস্তা নিমার্ণ, রানা প্লাজা ও র‌্যাংগস ভবন সহ শিল্প কারখানার আগুন নির্বাপনে, ৮৮, ৯১ এর সর্বগ্রাসী সামুদ্রিক জলোচ্ছাস, টর্নেডো, গোর্কির তান্ডব, উড়িরচরে সামুদ্রীক জলোচ্ছাস ও মহাপ্লাবনে যখন সারাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত, লন্ড-ভন্ড ও বিপর্যস্ত হয় সেই সময় দুর্দশাগ্রস্ত দুর্গতের পাশে সেনাবাহিনীর অবদানও ভুমিকা ভুলে যাওয়ার নয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী সাধারণ নির্বাচনে ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্ধীতার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও, এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর উপর কোন স্লাগা রেখাপাত করেনি। যদিও নির্বাচনে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের সাথে সেনাবাহিনীও ছিল।

 সেনাবাহিনীতে সারা বছরই কিছু রুটিন ওয়ার্ক, নিয়মিত প্রশিক্ষন, শীতকালীন প্রশিক্ষণ ও মহড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও সরকারের নির্দেশে সেনাবাহিনী তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ সহ আনুষাঙ্গিক প্রশিক্ষণ ও কর্ম পরিকল্পনা থেকে সরে গিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃংখলার পুনরোদ্ধার, বেআইনী অস্ত্র উদ্ধার এবং বেসামাল দুর্নীতি নিরসনে মাঠ পর্যায়ে চলে আসে। তখন সেনাবাহিনীর নিয়মিত প্রশিক্ষন এবং চবৎভড়ৎসধহপব এ যথেষ্ট ভাটা পড়ে। ১৯৭৪ সালে সেনাবাহিনীর কম্বাইন্ড (যৌথ) অপারেশন ২০০২ এবং ২০০৭ সালের অপারেশন ক্লিনহার্ট ও ওয়ান ইলেভেনের পর সেনাবাহিনী অহেতুক যথেষ্ট সমালোচিত হয় এমনকি পরবর্তী সময়ে পার্লামেণ্টে জবাবদিহীতার সম্মূখীন হতে হয়েছে, দেশ, জাতি, জনগণের দুঃসময় সাংবিধানিকভাবে ৭৪, ২০০২ ও ২০০৭ সালে মানুষের পাশে থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে এতসব কারো কাম্য ছিল না। সেনাবাহিনী যখন দেশের প্রচলিত আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটসহ যৌথ বাহিনী হিসেবে মাঠে আসে, তখন সংগত কারণেই আনন্দ উল্লাসের শেষ থাকেনি। কিন্তু জনমনে শান্তিশৃংখলা আনয়ন ও দুর্নীতির মার্কামারা রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পর যখন আপন গন্তব্যে ক্যান্টনমেন্টে চলে যায়, তখন তাদের ব্যাপারে কৃতজ্ঞতার বদৌলতে অকৃতজ্ঞতা ও তীর্যক সমালোচনার শেষ থাকে না। এসব দৃশ্যপট থেকে দেশের সচেতন নাগরিক তাদের স্বজন, পিতামাতা, ভাইবোন, স্ত্রী পুত্র পরিজন, বন্ধুবান্ধব ও গুনগ্রাহীরা মনে করে থাকে দেশের অভ্যন্তরীণ আইন শৃংখলা রক্ষার্থে সেনাবাহিনী কে যত দূরে রাখা যায় ততই মঙ্গল ও শুভ বুদ্ধির পরিচায়ক। সেনাবাহিনী কোন ব্যাক্তি, গোষ্টি ও দলের নয়। সেনাবাহিনী এদেশেরই নাগরিক, ভোটার ও দেশরক্ষার অকতোভয় গর্বিত সন্তান। দেশের জন্য তাদের দরদ ও দেশপ্রেম অন্য কারো চেয়ে কোন অংশে কম নহে। তারপর সেনাবাহিনী যেহেতু প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাহিনী সে হিসেবে জাতীয় প্রয়োজনে সাংবিধানিকভাবে অর্পিত রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব, কর্তব্য ও নির্দেশনা মেনে চলাটাও শৃংখলারই অংশ।

দেশের আইন শৃংখলা রক্ষাকল্পে আনসার, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি অন্য অনেক সাধারণ মানুষের মতো বোমায় দগ্ধ হয়ে হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে আহাজারির এ যাতনা, দুঃখ ও বেদনা প্রতিনিয়ত পীড়া দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে রবার্ট কীলের উক্তিকে টেনে বলব, চড়ষরপব ধৎব ঃযব ঢ়ঁনষরপ ধহফ ঢ়ঁনষরপ ধৎব ঃযব ঢ়ড়ষরপব” অর্থাৎ জনতাই পুলিশ এবং পুলিশই জনতা। তাই একজন রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ও দার্শনিক মত প্রকাশ করে বলেছেন, ুঔঁফরপরধৎু রং ঃযব ঃযরৎফ ঢ়রষষধৎ ৎধঃযবৎ নধপশনড়হব রং ধহু ংঃৎড়হম ফবসড়পৎবঃরপ ংঃধঃব ংুংঃবস ড়ভ ংড়পরবঃু” অর্থাৎ বিচার বিভাগ তৃতীয় স্তম্ভ তথা যে কোন শক্তিশালী রাষ্ট্র কাঠামোর মেরুদন্ড এবং কেবল এই মেরুদন্ডই পারে সমাজের সব অংশকে রক্ষা করতে। অতএব রাজনীতি হোক জনকল্যাণ, জনসেবা, উন্নয়ন, দুর্নীতিমুক্ত, সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক, সংঘাত, সহিংসত ও বিদ্বেষমুক্ত পথ যাত্রা। শান্তি ও কল্যাণের অভিপ্রায় সুদৃঢ় গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অর্গানোগ্রামের নিরিখে, অন্ধকার, বিদীর্ণ আলোর পথই জনপ্রত্যাশা।


লেখক কলামিষ্ট।