Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

দণ্ড দিতেই হবে অপরাধীদের

মার্চ ৮, ২০১৬, ০৯:০২ এএম


দণ্ড দিতেই হবে অপরাধীদের

প্রসাধনীর ব্যবসা বিশ্বব্যাপী জমজমাট। আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনে ভোক্তাকে আকৃষ্ট করার বিষয়টিও সর্বজনীন। এটা যে ফাঁদ, ধরতে পারেন না অনেকে। আবার জেনে-শুনেই বিষপানের ঘটনাও ঘটে। নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে চান যারা, সুন্দর হয়ে উঠতে যারা ব্যাকুল কিংবা নিতান্তই বাধ্য হয়ে রূপচর্চার জন্য যারা কিছু একটা অবলম্বন করেন- প্রত্যেকের জন্য রয়েছে প্রসাধনের উৎপাদক এবং ব্যবসায়ীদের দাওয়াই থাকে। এর কোনোটা ভালোই কার্যকর, কোনোটা নিছকই মনোলোভা। আবার খাঁটি জিনিসও মেলে। যেমন মেলে মারাত্মক বিষ। রোববার সমকালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল- প্রসাধনীতে বিষাক্ত রাসায়নিক। তথ্যের উৎস এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এসডো) গবেষণা। গবেষণার প্রয়োজনে রাজধানীর কয়েকটি এলাকা থেকে ৩৩টি প্রসাধনী সংগ্রহ করা হয়। গবেষকরা বলছেন, যেসব প্রসাধনী সর্বাধিক ব্যবহার হয় তা থেকেই নমুনা বাচাই হয়েছে। নমুনায় বাংলাদেশে উৎপাদিত এবং বিদেশি মুদ্রা ব্যয় করে আমদানি করা পণ্য, উভয় ধরনের প্রসাধনী রয়েছে। গবেষণার ফল উদ্বেগজনক। যেমন, বিউটি লোশনগুলোতে তিন ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক মিলেছে, যা দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে ত্বকে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। রঙ ফর্সাকারী ও ব্লিচিং ক্রিমে পারদের পরিবর্তে ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম ও টাইটেনিয়াম ব্যবহার হচ্ছে, যা পারদের চেয়েও ক্ষতিকর। এসব পণ্য ব্যবহারে গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি- এটাই গবেষকদের উপসংহার। তারা প্রসাধনীতে রাসায়নিক ব্যবহার সীমিত রাখার আইন কার্যকরের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে বিএসটিআইর দায়িত্ব সর্বাধিক। তাদের ছাড়পত্র ব্যতিরেকে বাজারে দেশি-বিদেশি কোনো পণ্য আসতে পারে না। একই সঙ্গে উৎপাদক এবং আমদানিকারকদেরও দায় কম নেই। ব্যবসায়ে লাভ অবশ্যই থাকতে হবে। কিন্তু কোনোভাবেই জনস্বাস্থ্য উপেক্ষা করা চলবে না। এর ব্যত্যয় ঘটছে। এ জন্য যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করেছে এসডো নামের প্রতিষ্ঠানটি। তারা সাধুবাদ পাবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছেও তথ্য থাকার কথা। তাহলে অপরাধীরা কেন শাস্তি পাবে না?