Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

আন্তর্জাতিক নারী দিবস

মার্চ ৮, ২০১৫, ০৮:২৮ এএম


আন্তর্জাতিক নারী দিবস

 

আট মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশ্বব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে  এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। দিবসটি পালনের প্রধান উপলক্ষ হচ্ছে নারীর অধিকার নিশ্চিত করা।

 তবে বিশ্বের সব দেশেই নারীদিবস উদযাপনের প্রধান লক্ষ্য এক নয়। কোথাও নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা উদযাপনের মুখ্য বিষয় হয়, আবার কোথাও নারীর আর্থিক, রাজনীতিক ও সামাজিক  আধিকার প্রতিষ্ঠায় বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। নারী দিবস পালনের  পেছনে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরি বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতো কারখানার নারী শ্রমিকরা। সেই মিছিলে সরকার দমন-পীড়ন চালায়।

  ১৯০৮ সালে নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে প্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হয়। ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ, জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের একজন।

এরপর ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয়ঃ ১৯১১ সালে থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে এ দিনটি।  এই একদিন আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালনের মধ্য দিয়ে নারীর মর্যদা  কতটা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব  সে প্রশ্নও দেখা দেয়।

তবে বাংলাদেশে নারীর মর্যাদা বা অধিকার অনেকটা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতাসহ গুরুত্তপূর্ণ অনেক পদেই নারীরা অধিষ্ঠিত। সবক্ষেত্রেই বেড়েছে নারীর সম্মান। সবধরনের কর্মক্ষেত্রেই এখন নারীর স্থান হয়েছে। এমনকি সরকারিভাবে নারী গাড়ি চালক নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে উড়োজাহাজ চালক হিসেবেও নারীরা তাদের স্থান দখল করেছে। তাছাড়াও সেনা, নৌ,বিমান, পুলিশসহ সব বাহিনীতে রয়েছে নারী সদস্যরা।

এছাড়াও কৃষি কাজ, চাতাল নির্মান, ক্রিকেট ও অন্যান্য খেলাধুলাসহ এমন কোনো ঝুঁকিপূর্ণ পেশা নেই যেখানে  নারীরা নেই। হাজারেরও বেশি নারী সাংবাদিক বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কাজ করছে। সবক্ষেত্রেই কিন্তু পুরুষের মতো নারীরাও  সমানভাবে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ত্ব পালন করছে। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতেও নারীর অবদান উল্লেখযোগ্য। বৈদেশিক রেমিটেন্স বাড়াতেও নারীর ভূমিকা চোখে পড়ার মতো। বর্তমানে  মোটজনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। তাই অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীর ভূমিকা অনষিকার্য। কেননা অতীতের মত নারী সমাজ পিছিয়ে নেই। যুগের বিবর্তনে  বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রসারিত হয়েছে নারীরা। তাইতো বিদ্রোহকবি কাজী নজরুল ইসলাম অকুন্ঠচিত্তে বলেছেন-
‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী ,অর্ধেক তার নর’।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। বিশ্বব্যাংকের বিশ্ব উন্নয়ন প্রতিবেদনে বাংলাদেশের উন্নতির ধারাকে ‘চমকপ্রদ’ বলে অভিহিত করেছে। উন্নয়নের পথে অগ্রসরমাণ পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির মূলে দেশের কৃষি ও পোশাক শিল্প খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। আজ দেশের রিজার্ব রেকর্ড পরিমাণ। দেশের এই অগ্রগতিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমান অবদান রাখছেন। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিভিন্ন সামাজিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, দেশকেও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে নারীরা নিজেদের সম্পৃক্ত করছে ব্যাপকভাবে। স্বাবলম্বী হওয়ার আত্মপ্রত্যয়ে নারীরা এখন ব্যবসা-বাণিজ্যেও নিজেদের লিপ্ত করছে। একটি জরিপে দেখা গেছে গৃহস্থালী কর্মকান্ড ছাড়া দেশে মোট এক কোটি ৬২ লাখ নারী কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত রয়েছে। একজন নারী প্রতিদিন ১৬ থেকে ২০ ঘণ্টাও কাজ করেন। স্বামীর সেবা, সন্তান ধারণ, সন্তানের যতœ, সংসার সামলানো, রান্নাবান্না, ঘরদোর পরিষ্কার করা, সন্তানের শিক্ষায় শ্রম, বাজারঘাট করা, ধানভাঙ্গা এধরনের মোট ৪৫ রকম কাজে একজন নারী নিয়োজিত রয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদনে নারীর অবদান ২০ শতাংশ দেখানো হয়। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় দেখানো হয় যে, নারীর সামাজিক ও পারিবারিক কল্যাণমূলক শ্রমের মূল্য নির্ধারণ করলে জিডিপিতে নারীর অবদান দাঁড়াবে ৪৮ শতাংশে, যা মোট জাতীয় উন্নয়নের প্রায় অর্ধেক বলা যায়। কর্মজীবী নারীরা তাদের চাকরির জন্য সপ্তাহে গড়ে ৪৪ ঘণ্টা ও গৃহস্থালি কাজে ৪৯.৮ ঘণ্টা ব্যয় করেন। যা একজন পুরুষের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি।

রফতানিমুখী শিল্পে নারী শ্রমিকদের চাহিদা ও অংশগ্রহণ বেশি। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস তৈরি পোশাক শিল্প, হিমায়িত চিংড়ি, চামড়া, হস্তশিল্পজাত দ্রব্য, চা ও তামাক শিল্পসহ অন্যান্য পণ্য। যা উৎপাদনের সাথে নারীরা জড়িত। মোট রফতানি আয়ের ৭৫ ভাগ অর্জনকারী শিল্পের মূল চালিকাশক্তি নারী। কেননা এসব খাতের মোট ৮০ ভাগ শ্রমিকই নারী। নারীরা এখন কেবলমাত্র বিভিন্ন শিল্পে বেতনভোগী শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে না। বর্তমানে দেশের অর্থনীতির অন্যতম শক্তি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পেও নারীরা উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। বলা যায়, এ খাতের বেশিরভাগ উদ্যোক্তাই নারী। দেশের অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান বর্তমানে ১০ শতাংশ।

 এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গ্রামীণ নারীরাও পিছিয়ে নেই। দেশের ৮০ ভাগ জনগণই গ্রামে বাস করে। ষোল কোটি জনগণের অর্ধেক নারী। আর এই নারীরাই গ্রামীণ অর্থনীতির পরিবর্তন ঘটিয়েছে। গ্রামীণ নারীরা এখন উচ্চশিক্ষাও গ্রহণ করছে। সেই সঙ্গে বাড়তি উপার্জনের জন্য ,আর্থিক সচ্ছলতার জন্য, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ মেটানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজও করছেন।

গ্রামীণ বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে নারীদের অবদান অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করলেও এর কোন স্বীকৃতী নেই।  অনেক ক্ষেত্রেই নেই সরকারি পৃষ্টপোষকতাও। তাহলে গ্রামীণ নারীরা এ ক্ষেত্রে আরো আবদান রাখতে সক্ষম হতো। যা দেশের অর্থনীতিকে অনেকদূর এগিয়ে নিতে পারত।

তবে বর্তমানে সরকার এ খাতের উন্নয়নের জন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ  করেছে। সরকারি প্রচেষ্টায় দেশের প্রান্তিক নারীদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির  ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয়ের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া সম্প্রতি দেশে নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহ যোগাতে আন্তর্জাতিক নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে শিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়েছে। এর ফলে নারী উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের নারী উদ্যোক্তার সাথে পারস্পরিক আলোচনা ও মতবিনিময়ের সুযোগ লাভ করছে। শুধু তাই নয়, ব্যবসা ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা সম্পর্কে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানেও সমর্থ হচ্ছে। দেশে বর্তমানে অনেক প্রতিবন্ধী নারী আর্থিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িয়েছে। এছাড়া প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তাদের পুরস্কার প্রদানের অন্তর্ভুক্তকরণ, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঋণ সুবিধা প্রদান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তাদের পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা, সরকারি বেসরকারি ঋণ গ্রহণসহ প্রশিক্ষণ, বিপননে অবাঁধ অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে সরকার।

সরকার দরিদ্র ও বেকার নারীদের কর্মমুখী করার লক্ষ্যে বিউটিফকেশন ট্রেনিং,কম্পিউটার ট্রেনিং, মোবাইল সার্ভিসিং ট্রেনিংসহ বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং দিচ্ছে। এরপর তাদের সহজশর্তে ঋণ প্রদান করছে। অনেক নারী  এর মাধ্যমে নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে।
নারীর উন্নয়ন ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি অসম্ভব, তাই দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি প্রবাহমান রাখতে নারী উদ্যোক্তাদের কর্মপরিবেশে নিরাপত্তাসহ তাদের পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয়ে সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা আরো বাড়াতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের চলার পথ সুগম করতে সরকারকে আরও কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। শুধু তাই নয় বেসরকারি প্রচেষ্টারও প্রয়োজন রয়েছে। এর ফলে নারীরা স্বাবলম্বী হওয়ার মাধ্যমে পরিবার ও নিজেকে দারিদ্র্য দশা থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হবে। দেশ এগিয়ে যাবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে।

অর্থনৈতিক ও সামাজিক  ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্যের পেছনে নারী বড় ধরনের ভূমিকা রাখলেও অনেক ক্ষেত্রেই নারীর অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। কর্মক্ষেত্রে, চলারপথে, এমনকি ঘরের মধ্যেও নারীরা নির্যাতিত এবং বৈষম্যেরও শিকার হচ্ছে।  
যদিও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে নারীর অবস্থান বর্তমানে উজ্জ্বল ও সদৃশ্যমান। অতীতের থেকে আমরা নারী অবস্থান পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছি।

একদিকে নারী অগ্রযাত্রা অপরদিকে নারীরা এখনও পারিবারিক, সামাজিক ও কর্মক্ষেত্রে দৈহিক ও মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে। একটি  জরিপে দেখা গেছে দেশের বিবাহিত নারীদের ৮৭ শতাংশই স্বামীর মাধ্যমে কোনো না কোনো ধরনের নির্যাতনের শিকার।
এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ নারী তাঁরা স্বামীর মাধ্যমে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ৩৬ শতাংশ যৌন নির্যাতন, ৮২ শতাংশ মানসিক এবং ৫৩ শতাংশ নারী স্বামীর মাধ্যমে অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

নারী নির্যাতন যে শুধু বাংলাদেশে হয় এমন নয়। বিশ্বের অনেক দেশেই হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশে নারীর  সামাজিক মর্যাদা ও ক্ষমতা বাড়লেও নির্যাতন রোধ  চোখে পড়ার মতো সম্ভব হয়নি।

বর্তমান সরকার নারী নির্যাতন প্রতিরোধের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে কাজ চলছে। তবে নারী নির্যাতন বন্ধে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও শিক্ষা বাড়াতে হবে। যাতে করে নারীর আত্মসম্মান বাড়ে এবং নিজের অধিকার বুঝতে পারেন।  তবে সবার আগে প্রয়োজন আমাদের সমাজের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করা। তাহলেই নারী নির্যাতন হ্রাস পাবে  নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা পাবে।

সবশেষে বলতে চাই ,অধিকার আদায়ে নারীর নিজেকে জানান দিতে হবে,‘আমি নারী আমি পারি/শুধু সৃষ্টিই নয় জানি ধ্বংস/আমি যে  মহাশক্তির অংশ /আমি পারি প্রেমে বাঁধতে /পারি ভবিষ্যৎকে মুঠোয় ধরতে /হতে পারি,ক্ষুদ্র কিন্তু উচ্চ আমার আশা/আমি স্বাধীন/ আমি মুক্ত তাই আকাশে ভাসা।’