Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গঁ

এপ্রিল ১৫, ২০১৫, ০৯:২৪ এএম


সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গঁ

 ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এমন কিছু ব্র্যান্ডের জিনিষ রয়েছে যার প্রতি বিশ্বজোড়ে মানুষ এমনিতেই আকর্ষিত হয়। প্রয়োজনে নামী দামী গাড়ী থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় জিনিষ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও কাপড় চোপড় কেনাকাটার সময় ব্র্যান্ডের জিনিষ এবং লোগো দেখেই কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করে। ব্র্যান্ডের সুনাম একদিনে হয়নি। দীর্ঘদিন শ্রম, সাধনা, স্বচ্ছতা যাচাই বাছাই, প্রতিযোগীতা, মান ও গুনগত কারণেই লোগো ও ব্র্যান্ডের সূচনা হয়। অনেক সময় দেখা যায়, ব্র্যান্ডের জিনিষ বেচা বিক্রীর ঘাটতি লক্ষ্য করে কোন কোন প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী ও ফ্যাক্টরী নিুমানের জিনিষ বাজারজাত করে ব্র্যান্ডের  লোগো লাগিয়ে সাময়িক বাজারে আমদানী ও বেচা বিক্রী করলেও ব্যবহারে মান ও গুনগত ত্রুটি বিচ্যূতি ভেজাল ও নকল ধরা পড়লে কেউই সেদিকে মুখ ফিরে না থাকানোর কারণে নকল লোগো ও ব্র্যান্ডসম্পন্ন  জিনিষ এমনিতেই বাজার থেকে উদাও হয়ে যায় বা হাওয়া হয়ে যায়। তেমনিভাবে অফিস আদালতে অনেকে ভালো ভালো কথা বললেও, নিজের আক্কেল গুড়ুম, স্বার্থপরতা, ঘুষ, দুর্নীতির কথা লোকমুখে জানাজানি হয়ে গেলে প্রচন্ড ক্ষমতাধর ব্যক্তিটির দিকে কেহ মুখ ফিরে তাকাতে চায়না। অন্যদিকে ভালো কোন কর্মকর্তার কোন ব্যাপারেই সততা, আদর্শ ও ন্যায় নিষ্ঠার ডামঢোল বাজাতে হয়না। তার কার্যকলাপই মানুষকে সেদিকে বারিত করে। অর্থাৎ বাস্তব সত্যকে কোনভাবেই ঢেকে রাখা যায়না। আজ হোক কাল হোক সত্য ও বাস্তবতা এমনিতেই ভেসে উঠে। যেমন নাকি নারায়ণগঞ্জের র‌্যাব কর্তৃক সাত হত্যাকান্ডকে এত কিছু ফন্দি ফিকির করে এমনকি লাশের বস্তার মধ্যে ইট ও পাথর দিয়ে শীতলক্ষ্যাতে ডুবানোর পরও লাশগুলো কোলে ফেঁপে ইট পাথরের বস্তা নিয়েই নদীতে ভেসে উঠে। এমনিভাবে বাস্তব ও সত্য উদাহরণের কমতি নেই। আরেকটি জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ের সুন্দরী মেধাবী ছাত্রী নীহার বানুর সাথে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক প্রেম প্রত্যাশী ছাত্র সহপাঠি তাকে হত্যা করে ঘরের মধ্যে কবর দিয়ে রড, সিমেন্ট ও চুড়কি দিয়ে আস্তর দেয়ার পরও সত্য ও হত্যা রহস্য উধঘাটিত হয়ে যায় এবং ঘাতক আইনের আওতায় চলে আসে। তাতে দেখা যায় বাস্তব ও সত্য একদিন না একদিন প্রকাশিতই হয়ে যায়। তবে এ কথা সত্য এ ব্যাপারে সময়টা ফ্যাক্টর। একজন স্বৈরাচার বা স্বৈরশাসক বা একনায়ক তার প্রভাব প্রতিপত্তিকে ধরে রাখার জন্য গণতন্ত্রের লোগো ব্র্যান্ড লাগালেও তাহাও একদিন আগে হোক পরে হোক লুক্কায়িত স্বৈরশাসকের মুল চরিত্র বেড়িয়েই আসে। অর্থাৎ যে বা যাহারা যে অবস্থানেই থাকুননা কেন আদত বা মূলের দিকেই ধাবিত হয়। আপার চেম্বার খালি এক ব্যক্তি মামা ভাগ্নে জোড়ে চাকুরী পেয়ে অহরহ ডিপোজিট মানির স্থলে সাবমিট মানি লেখতে গিয়ে সহকর্মিদের নিকট ধরা পড়ে যায়। অর্থাৎ তার পড়ালেখার দৌড়াত্ব লুকিয়ে রাখতে পারেনি। পানি যেখানে ঢালা হয় নীচের দিকেই প্রবাহিত হয়। যে কারণে বৃষ্টির পানি খাল, বিল, নদী, নালা পার হয়ে সাগর মহা-সাগরেই পতিত হয়। এমন কোন উদাহরণ নেই নদী, সাগর ও মহাসাগরের পানি পাহাড় পর্বতের দিকে ধাবিত হয়। তাই বলছি, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে যতগুলো স্থানীয় সরকার, উপজেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন ও সংসদ নির্বাচন হয়েছে, প্রতিটি স্তরের নির্বাচনেই প্রার্থী থেকে আরম্ভ করে সুশীল সমাজ ও দলীয়ভাবে আগে ভাগেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবী ও প্রত্যাশা করা হয়। তম্মধ্যে কোন কোন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়, আবার অনেক ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। এখানে মুল বিষয়টি হচ্ছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস। এরই মধ্যে হয়ে যাওয়া নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, সিলেট, রাজশাহী ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সুশীল সমাজ, প্রার্থী ও রাজনৈতিক পরিসর থেকে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে জোড়ে শোরে প্রত্যাশা ও দাবী জানানো হয়েছিল। এর পিছে এদেশের সেনাবাহিনীর প্রতি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে বিভিন্ন জাতীয় দুর্যোগ ও দুঃসময়ে মানুষের পাশে থাকার কারণেই মানুষের অকৃত্রিম আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে কোন প্রেক্ষাপটে যদি কোন সামরিক ঘরাণার কারো কিছু ভুলত্রুটি থেকে থাকে তার জন্য সামষ্টিকভাবে সেনাবাহিনী দায়ী নহে। যারা দায়ী দোষী তাদের জন্য ইতিহাসের পাতাই যথেষ্ট। তদোপরি দায়ী দোষীদের ব্যাপারে অদ্যাবধি সমালোচনা একেবারে কম হচ্ছেনা। সেদিকে এ কলামের সংক্ষিপ্ত পাতার কলেবরে না এগুলোও জাতীয় দুর্যোগে দেশ প্রেমিক সেনা বাহিনীর অবদান, অপরিসীম ত্যাগ ও মানবতার পাশে নিবেদীতভাবে কাজ করায় একটি প্রত্যক্ষ ঘটনা এখানে তোলে ধরা হলো। ১৯৮৮ সালের প্রলয়ংকরী সর্বনাশা প্লাবনে দেশ বন্যার পানিতে সয়লাব গিয়ে ছিল। দেশের এমন কোন জায়গা ছিলনা যেখানে বন্যার পানি ঢুকেনি। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের প্রায় জেলা বিভাগীয় শহর ও উপজেলা কমপ্লেক্স কমবেশী বন্যার পানিতে থৈ থৈ করত। সেই সময় অনেককেই জেলা, উপজেলা সদর এবং রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় মেইনরোডে মাছ ধরতেও দেখা যায়। তাছাড়া আজ যে সমস্ত শহর বন্দরের উপর দিয়ে জীপ, কার, বাস, সিএনজি, ট্রাক, টেম্পো চলে, যে সমস্ত রাস্তা দিয়েই ৮৮ এর বন্যার সময় অহরহ নৌকা চলাচল করতো। রাজধানীর প্রত্যন্ত মিরপুর, মোহাম্মদপুরের কথা নাইবা বললাম। সে সময় কদমতলি, নাজিমুদ্দীন রোড, মৌলবী বাজার ও চকবাজারে নৌকা দিয়েই চলাচল করতে হয়েছে। ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, ব্রাক্ষণবাড়ীয়া, সিলেট ও হবিগঞ্জ শহরগুলো প্রত্যক্ষ দৃষ্টিতে ছিল কমরপানি, হাঁটুপানি। টেঁকনাফ থেকে রূপসা এবং রূপসা থেকে পাথুরিয়ার ৫৫ হাজার বর্গমাইলের কোন জায়গায়ই তেমন অবশিষ্ট ছিলনা। সেই ভয়াবহ নজির বিহীন বন্যায় বন্যার্ত অসহায় বানে ভাসা দুদর্শাগ্রস্ত ও কাঙ্গাঁলী মানুষের পাশে দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর অবদান কোন মতেই ভুলে যাওয়ার কথা নয়। এদৃশ্য যারা দেখেছে এবং সেনাবাহিনীর  সাথে শরীক হয়েছে তারা কোন দিনই সেনাবাহিনীর রাত দিন অকান্ত পরিশ্রম, সেবা, ত্যাগ বাস্তবিকই মনে রাখার কথা। ১৯৮৮ সালের বহু আগ থেকেই একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে জাতীয়, আঞ্চলিক, রাজনৈতিক, আত্মসামাজিক ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, দৈন্যদশা, অর্থনৈতিক অবস্থা, জাতীয় উন্নয়ন, জাতীয় অগ্রগতি, প্রবৃদ্ধি, সমৃদ্ধি, দেশী বিদেশী আগ্রাসন, ঘাত, অপঘাত ইত্যাদির উপর লেখালেখি করে আসছি। সেই সময় দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব, সেনাবাহিনী আমাদেরই সন্তান, সেনাবাহিনী আমাদের ভাই, দুর্গত মানুষের পাশে সেনাবাহিনী, সেনাবাহিনী নবদিগন্তের দিশারী এ সম্পর্কে বেশ কয়েকটি কলাম লেখে বিভিন্ন কর্নার থেকে প্রশংসিত হয়ে ছিলাম। ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতার পাশাপাশি ১৯৮৮ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা ত্রানপূর্ণবাসন ও সার্বিক সমন্বয় কমিটির একজন এক্সিকিউটিভ ও সদস্য হিসেবে বন্যার দুর্গত মানুষের জন্য ময়মনসিংহের ২৫ বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেনাবাহিনীর একটি ট্রুপসের সাথে ভাটী এলাকার কাজ করার সুযোগ লাভ করি। নেতৃত্বে ছিলেন ২৫ বেঙ্গলের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আব্দুল খালেক এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড মেজর সাঈদ। অপরদিকে এলাকার বন্যার্তদের সার্বিক যোগাযোগ রাখতেন ময়মনসিংহ সেনা নিবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল নুর উদ্দিন, ময়মনসিংহ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দার কমান্ড্যান্ট মেজর বারী। যিনি পরবর্তী সময় বিডিআর এর উপমহাপরিচালকের দায়িত্ব পালনকালে বিডিআর বিদ্রোহে অকালে নির্মমভাবে নিহত হন। যার অভূতপূর্ব মানবিক পারফম্যান্স আজো ভুলা যায়না। সে সময় স্বচোখে সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সুবেদার, মেজর, নায়েক, ল্যান্স নায়েক ও সাধারণ সিপাহীদের দুর্গত মানুষের পাশে থেকে সেবার যে মহানুভবতা প্রত্যক্ষ করেছি আজো তা বারবার বহুবার মনকে সাড়া দেয়। মানুষের জন্য জীবন পন বাজি রেখে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে এমনকি স্ত্রী, পুত্র, পিতামাতা ও ভাইবোনের কথা মাথায় না নিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য সেনাবাহিনী কত যে ত্যাগ স্বীকার করতে পারে আজো তারই প্রমান বহন করে। সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব, সেনাবাহিনী সেবা ও দেশপ্রেমের উজ্জ্বল উদাহরণ। দেশের শান্তিশৃংঙ্গলা আনয়নে অন্যান্য বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে গেলেও আস্থা অনাস্থার কারণেই নয়, সংগত কারণে অনেক ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর প্রত্যাশা করা হয়ে থাকে। আগামী ২৮ এপ্রিল ২০১৫ ইং ঢাকা উত্তর দক্ষিণ এবং চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবে বলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) তপছিল ঘোষণা করেছে। এ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ট ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য প্রচলিত আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি অনেক প্রার্থীই নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রত্যাশা করে ইসির কাছে ১০/০৪/১৫ ইং প্রার্থী ঘোষণা ও নির্বাচনের প্রতীক ঘোষণার সাথে সাথেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। এ প্রসঙ্গে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন না হলে নির্বাচন সুষ্ট হবে না বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভি.সি ও ঢাকা আন্দোলনের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমদ। যা ১১/০৪/১৫ ইং জাতীয় দৈনিক সমূহে প্রকাশিত হয়। এজন্য তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে সেনা মোতায়েনের কথাও বলেন। ১০/০৪/১৫ ইং জাতীয় প্রেসকাবে বাংলাদেশ ডেমোক্র্যাটিক কাউন্সিল আয়োজিত গুম, খুন, অপহরণ ও গ্রেফতার আতংক প্রেক্ষীতঃ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অপরদিকে শনিবার ১১/০৪/১৫ ইং চট্টগ্রামে টোয়েন্টিফোর মিলনায়তনে চট্টগ্রামের মেয়র ও কমিশনার প্রার্থীদের মত বিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীনের নিকট একাধিক মেয়র ও কমিশনার প্রার্থী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রত্যাশা ও দাবী জানান। তাছাড়া ১৩/০৪/১৫ ইং ইসি কতৃক আহুত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দক্ষিণের মেয়র ও কমিশনার প্রার্থীদের মধ্যে মত বিনিময় কালে অধিকাংশরাই সিইসির নিকট নির্বাচনের ৭ দিন পূর্বে সেনা মোতায়েনের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। জনপ্রত্যাশা, জন আকাংখা, জন চাহিদা, সুশীল সমাজ, মেয়র ও কমিশনার প্রার্থীদের প্রত্যাশা কে সামনে রেখে নির্বাচনের ৭ দিন পূর্বে ঢাকা, চট্টগ্রামের সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনকে গুরুত্বের সাথে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও সিইসি ভেবে দেখবে বলে অনেকেই মনে করে। দেশের সাধারণ মানুষ, ভোটার ও প্রার্থীরা চায় যাতে নির্বিঘেœ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে। মধ্যিখানে কোন ঝক্কি ঝামেলা, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, দেশের মানুষ আর দেখতে চায়না। মানুষ চায় শান্তি, স্বস্থি, নিরাপত্তা। আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দিব। নির্বাচন কমিশনের এ শ্লোগানের স্বচ্ছতা, বাস্তবতা ও এ শ্লোগানের প্রত্যয়কে সামনে রেখে ভোট দেয়ার নিশ্চয়তা। ২৮ এপ্রিলের ঢাকা, চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হোক স্বচ্ছ, সুন্দর, নিরপেক্ষ ইহাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।