Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

মুসলমানদের হিন্দু বানানো ও মুসলমান নিধন ধর্মীয় দৃষ্টি কোণ থেকে বর্বর

জানুয়ারি ৬, ২০১৫, ০৬:৫০ এএম


মুসলমানদের হিন্দু বানানো ও মুসলমান নিধন ধর্মীয় দৃষ্টি কোণ থেকে বর্বর

   কিছুদিন ধরে ভারতের আগ্রা, গুজরাট ও অন্যান্য স্থানে জোর করে মুসলমানদের হিন্দু বানানো ও মুসলমান নিধন মানব সভ্যতার ইতিহাস ও ধর্মীয় দৃষ্টি কোণ থেকে বর্বর, মর্মান্তিক ও চরম নিন্দনীয় ঘটনা। যা ভাষায় ব্যাক্ত করা যায় না। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের আগে ও পরে ভারতের কলকাতা, আসাম, মোজাফ্ফরাবাদ, গুজরাট, আহমদাবাদসহ অন্যান্য স্থানে দাঙ্গায় হাজার হাজার মুসলমান নারী পুরুষ, শিশু ও আবাল বৃদ্ধা বনিতার নৃশংস হত্যাযজ্ঞ আজো ইতিহাসের পাতায় কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। বর্তমানে ভারতে বিজেপি মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ভাগে তাদেরই ইন্ধনে অনেক মুসলমানের বাড়ী ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আক্রমন, নিগ্রহসহ অনেক মুসলমান নারী পুরুষ কে হতাহত করা হয়েছে। যা দেশী বিদেশী ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে ফলাও করে আসে।

এতসব কিছুর পরও ইসলাম শান্তির ধর্ম হওয়াতে এদেশের মুসলমানরা প্রতিহিংসা গ্রহণ করেনি। তদোপরি এ পর্যন্ত সরকারে আসা এদেশের কোন সরকারই প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করেনি। বরং বাবরী মসজিদ ভাঙার সময়, এদেশের মুসলমান ও সরকার সংখ্যালঘুদের বাড়ী ঘর সহায় সম্পদ, ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্প কারখানা রাত দিন পাহারাসহ তাদের নিরাপত্তা বিধান করে। তাছাড়া ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল কর্তৃক ১৯৮০ সনে মুসলমানদের পবিত্র স্থান জেরুজালেমে প্রথম কেবলা বাইতুল মোকাদ্দাস দখল ও আল আকসা দখল করে রাখে। তদোপরি সেখানকার ফিলিস্তিনি মুসলমানদের নির্মম অত্যাচার ও নৃশংস ও অমানবিকভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে দুনিয়ার শক্তিধর রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগীতায় ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের যা খুশী তা করা নতুন কিছু নয়। এমন কি সত্য ও মানবতার ধর্ম ইসলাম ধর্ম আবির্ভাবের পর থেকেই দাবানলের মতো বিধর্মীদের প্রচন্ড আক্রোস নেমে আসে ইসলামের প্রচার, প্রসার ও মুসলমানদের উপর। আমদের প্রিয় রাসুল পাক (সাঃ) এর জীবদ্দশাতেও সত্য, ন্যায় ও শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রচারে বিধর্মী ও পথভ্রষ্টাদের প্রচন্ড বাধার কারণে তাদের সাথে অগনিত ঈমানী ধর্মযুদ্ধের সম্মুখীন হতে হয়। তাতে অগনিত ইসলাম রক্ষার সিপাহসালার ও সাহাবা শাহাদৎ বরণ করেন। তারও আগে নমরূদ, ফেরাউনের অত্যাচার এবং হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপের ঘটনা কোরআন, হাদীস ও ইতিহাসের আলোকে না জানার নয়।


 বিশ্বাসঘাতক এজিদ যে ভাবে নবীকুল শিরোমণি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পেয়ারা দৌহিত্র ও হযরত আলী (রাঃ) এর পুত্র ইমাম হোসেন (রাঃ) কে কারবালা প্রান্তরে নির্মম নিষ্টুরভাবে হত্যার মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলমানদের ধ্বংস করার জন্য যে আঘাত করেছিল এবং মহামানব নবী করিম (সাঃ) বিধর্মীদের অত্যাচার উৎপীড়নে মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেছিলেন এ মহাষড়যন্ত্রই নজির হয়ে রয়েছে। এছাড়াও নবী করিম (সাঃ) এর ওফাতের পর তো তোলায়হা, মুসায়লামা, সাদাহসহ বেশ আরো কয়েকজন যেভাবে নিজেদেরকে নিজেরাই নবীর উত্তরাধিকারী এবং নবী দাবী করেছিল সেই সময় হযরত আবু বকর (রাঃ) না থাকলে ইসলাম বেদুইন গোত্রদের সাথে মিশে গিয়ে অংকুরই ধ্বংস হয়ে যেত।

‘তারপর থেকে আজো গোঠা দুনিয়ার বুকে ইসলাম ও মুসলমানরা শির উঁচু করে রয়েছে। আফ্রিকা, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ভারতসহ অন্যান্য দেশে প্রতি বছর শত শত বিধর্মী ইসলামের শীতল ছায়া তলে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) উচ্চারণ করে দলে দলে মুসলমান হচ্ছে। এমনকি বাবরী মসজিদ ভাঙার সাথে অন্যতম কান্ডারী সহ অন্যান্যরা মুসলমান হয়ে ভারতসহ দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারে লিপ্ত রয়েছে। ইসলামী ধর্মসভা, ইসলামী মজলিশ, ইসলামী জলসা ও মুসলমানদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান তারা ওয়াজনছিঅত করে কৃত অপরাধের জন্য আল্লাহর দরবারে তওবা করে ক্ষমা চেয়ে হাইমাউ করে কেঁদে অপরাধী হিসেবে প্রার্থনা করছে।

বিশিষ্ট লেখক, কলামিষ্ট ও প্রথিত যশা সাংবাদিক গোলাপ মুনীর ২৯/১২/১৪ ইং নাতিদীর্ঘ কলামে ভারতে মুসলীম নিধন, জোর করে মুসলমান ও খৃস্টানদের ধর্মান্তরিত করা ও ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল ফিলিস্তিনি মুসলমান ও খৃষ্টানদের হত্যা ও নির্যাতনের কাহিনী তুলে ধরেছেন। ৩১/১২/১৪ ইং অন্য একটি নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা যায়, ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ ইং ভারতের কেরালা রাজ্যের আলাপুজ্জাতে আটটি খৃস্টান পরিবারের ৩০ জনকে হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত করায় বিশ্বজুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। জোর করে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) বিরুদ্বেও।

আরো জানা যায়, ২০ ডিসেম্বর গুজরাটের ভালসাদ জেলার আরনাই গ্রামের একশ খৃষ্টান পরিবারের পাঁচশ জনকে হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত করেছে ভিএইচপি। সম্প্রতি ভারতের ধর্ম জাগরণ মঞ্চের অন্যতম নেতা রাজেশ্বর সিং ঘোষনা দিয়েছেন, যতি কোন খৃস্টান হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে তাকে দুই লাখ এবং কোন মুসলমান হিন্দু ধর্ম গ্রহন করলে তাকে পাঁচ লাখ টাকা পুরষ্কার দেয়া হবে।

এদিকে ভারতে মোদির বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এখন সেখানে চলছে ‘হিন্দু হও, নয় ভারত ছাড়ো’ নামের নতুন এক দানবীয় খেলা। ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং এক নেতা ভারতে বসবাসকারী তথাকথিত বাংলাদেশীদের ভারত ছেড়ে যেতে বলেছে, নয়তো হিন্দু হয়ে যাওয়ার কথা বলে দিয়েছেন। এই হুংকারের পাশাপাশি আরেক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) ঘোষনা দিয়েছে, আগামী মাসে (জানুয়ারী ১৫ সাল) এরা চার হাজার মুসলমানকে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করবে। ইতোমধ্যেই আগ্রায় কয়েকশ মুসলমানকে জোর করে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তদোপরি গুজরাটে ডিসেম্বর মাসেই জোর করে ২০০ মুসলমানকে হিন্দু করা হয়েছে। উল্লেখ্য নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির জন্মদাতা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ তথা আর.এস.এস। আর.এস.এস এর মুলমন্ত্র, এক দেশ এক ধর্ম। দেশটি ভারত আর ধর্মটি হিন্দুত্ব। আর.এস.এস সংশ্লিষ্ট রয়েছে আরেক উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এ পরিষদের নেতা তাগাড়িরা ভারতে বিগত নির্বাচনের আগেই হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়ে ছিলেন তাদের এলাকায় কোন মুসলমান থাকলে তাদের যেন এলাকা থেকে বহিষ্কার করা হয়। আর বিহারের গিরিরাজ সিং বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদিকে যারা সমর্থন করে না তাদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া হোক।

আসলে হিন্দুত্ববাদীদের মুলমন্ত্র হিন্দুস্তান ইজ অ্যা হিন্দু ন্যাশন। (ঐরহফঁংঃধহ রং ধ ঐরহফঁহধঃরড়হ) অতএব অহিন্দুদের এখানে স্থান নেই। যারা এখানে থাকবে (ভারতে) তাদের হিন্দু হয়েই থাকতে হবে। সেজন্যই এখন যেখানে চলছে জোর করে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করার এক মহোৎসব ও নারকীয় তোড়জোড়। যার নাম দেয়া হয়েছে, ‘ঘরেওয়াফসি’। শুধু এখানেই শেষ নয়, ভারতের নানা স্থানে নতুন করে শুরু হয়েছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। এর সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে আসামে। কয়েকদিন আগে ভারতের চরমপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিভ ফ্রন্ট অব বোরো ল্যান্ড এর সন্ত্রাসীরা ৮১ জন আদিবাসী মুসলমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এদের মধ্যে ১৮ জন শিশু ও ২৩ জন নারীও রয়েছে। প্রাণভয়ে ২ হাজার গ্রামবাসী তাদের বাড়ীঘর ছেড়ে পালিয়েছে। নয়াদিল্লীর এসিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস, আসামের কুকড়াঝড় ও শান্তিপুর জেলার কয়েকটি গ্রামে পরিচালিত হত্যাকান্ডকে মানবতার বিরুদ্ধে চরম অপরাধ বলে অভিহিত করে বলেছে এ ঘটনা প্রমাণ করে ভারতের পরিস্থিতি পাকিস্তানের মতই উদ্বেগজনক। এশিয়ান সেন্টার উদ্বেগের সাথে বলেছে, আসামে এ ধরণের বারংবার ঘটার পরও এই ঘটনার পর একটি এফআইআর পর্যন্ত করা হয়নি।

এছাড়া মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেশ কয়েকটি রাজ্যে মর্মান্তিক নারকীয় ও দানবীয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনাও ঘটে। অপর দিকে ভারতের মুসলীম প্রধান কাশ্মীরের জনসংখ্যার চিত্রটি পাল্টে দেয়ার ষড়যন্ত্র মেতে উঠেছে মোদি সরকার। এর মাধ্যমে কাশ্মীর উপতক্যাকে দেয়া হচ্ছে জম্মু প্রদেশের তুলনায় কম প্রশাসনিক ইউনিট। মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রী সভা সম্প্রতি এক সিদ্ধান্তে জম্মুকে দেয়া হয় ১০৯টি প্রশাসনিক ইউনিট। অপরদিকে কাশ্মীর কে দেয়া হয় ৯২টি প্রশাসনিক ইউনিট। মানবতার চরম পরাকাষ্ট দেখিয়ে পাশের দেশ মিয়ানমার রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে এদের রাষ্টহীন করে রেখে যেভাবে তাদের উপর অমানবিক নির্যাতন, নিপিড়ন আর নিধনযজ্ঞ চালানো হচ্ছে তা নজির বিহীন। সেখানে বারবার দাঙ্গা ঘটিয়ে কার্যত রোহিঙ্গা নিধনের কাজটিই করছে বার্মিজ জান্তা। গোটা বিশ্বেই চলছে সুপরিকল্পিতভাবে এ নিধন। ২৪/১২/১৪ ইং বৃহস্পতিবার দেখা যায়, সুইডেনের একটি মসজিদে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। এতে পাঁচজন মুসল্লি আহত হয়েছে। স্টকহোমের পশ্চিমে এসকিলসটোনা শহরে এ দূঘর্টনা ঘটে।

পুলিশ সূত্র মতে, দুর্বৃত্তরা বাইরে থেকে একটা কিছু ছুঁড়ে মারার পর মসজিদের ভেতরে আগুন ধরে যায়। এ সময় মসজিদের ভেতরে ১৫ থেকে ২০ জন মুসল্লি অপেক্ষা করছিলেন। এ হামলাকে রাজনৈতিক বিভক্তি ও চরমপন্থিদের উত্থান হিসেবে ধরে নেয়া হচ্ছে। সুইডেনে অভিবাসন নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এর ধরণের ঘটনা ঘটল। অপর দিকে অষ্ট্রিয়ার অজ্ঞাত পরিচয় একদল ব্যক্তি মসজিদ অবমাননা করেছে। ওই ব্যক্তিরা রাজধানীর ভিয়েনায় টুয়েন্টি ওয়ান নামের একটি মসজিদে শুকরের মাথা ফেলে রেখে চলে যায়। সেখানকার মসজিদ পরিদর্শন করে পুলিশ পরিদর্শক বলেছেন, মসজিদে শুকরের মাথা ফেলে রাখার মাধ্যমে শুধু মসজিদ নয়, পুরো মানবতাকে অবমাননা করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয় গত সপ্তাহে মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল আকসা মসজিদ চত্তরে ৪০৭ জন ইহুদী তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘হানুক্কাহ’ পালনের জন্য জোর করে ঢুকে পড়ে। এদের মধ্যে ৫২ জন ছিল ইসরাইল সৈন্য। তথাকথিত পর্যটন ও ভ্রমন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সামরিক লেবাসে এরা সেখানে যায়। দখলদার বাহিনী মসজিদের কয়েকটি প্রবেশ পথে ২০ জন মুসলমানকেও গ্রেফতার করে, এছাড়া ১৫-৩০ দিন সেখানে মুসলমানদের নামাজ আদায়েও বাধা দেয়।  

এ ধরণের অমানবিক পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে আমরা জন্ম দিয়েছি ইতিহাসের নানা নামের নানা জেনোসাইড, গণহত্যা ও কিলিং মিশনের। এগুলো মানব জাতির ইতিহাসের একেকটি ন্যাক্কারজনক পৈশাচিকতা ও কলংকজনক ঘটনা। গত মাসে আলোচনায় এসেছে ১৯৩৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর শুরু হওয়া জাপানী সৈন্যদের পরিচালিত কয়েক সপ্তাহব্যাপী তৎকালীন চীনের রাজধানী নানাজিংয়ে বেসামরিক লোকদের উপর গণহত্যা ও ধর্ষণের বিষয়টি। জাপানীরা চীনে আগ্রাসন চালিয়ে এ গণহত্যা চালিয়ে ছিল। বলা হয় এ হত্যাকান্ডে এক লাখ ৪০ হাজার থেকে তিন লাখ বেসামরিক লোক নিহত হয়।

আবহমানকাল থেকে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে ইসলাম ও মুসলমানদের উপর অত্যাচার, উৎপীড়ন, নিপিড়ন নতুন কিছু না হলেও, সভ্যতার যুগে ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত ভারতে মুসলমান ও খৃস্টানদের জোর করে হিন্দু বানানোর ঘটনা খুবই মর্মান্তিক ও দুঃখজনক।

বাংলাদেশে সংখ্যা লঘুদের জীবন-জীবিকা, বসবাসের নিশ্চয়তা, নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার ভোগ করার ব্যাপারে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি প্রতিটি সরকার যেমনি প্রতিশ্রুতি পরায়ন, তেমনি এদেশের জনগণও। ভারতে মুসলমান ও খৃস্টানদের জোর করে হিন্দু বানানোর প্রবনতা থেকে হিন্দুত্ব বাদীদের অপকৌশল, মাতরম ও দানবীয় নারকীয়তা যত দ্রুত অবসান হয় ততই মঙ্গল। বাংলাদেশে যেমন সংখ্যা লঘুরা দেশ ও জনগণের আমানত, তেমনি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ভারতেও তা হওয়াই উচিত। ইসলাম শান্তির ধর্ম। অন্য ধর্মাবলম্বীদের জোর করে ধর্মান্তকরণে ইসলাম ও মুসলমান বিশ্বাস করে না। শান্তি, স্বস্থিসহ দুনিয়ার সকল দেশ ও প্রতিবেশীর সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই মুসলমানদের চলার পথ। দুনিয়ার সকল শান্তিকামী রাষ্ট্র, জনগণ ও আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ এহেন ধর্মান্তকরণের নিগ্রহ জ্বালাযন্ত্রনা, অভিলাষ, তকমা, দানবীয়, নারকীয়তা ও মাতরম থেকে মুসলমান ও খৃস্টানদেরকে রক্ষা করো। আল্লাহ হাফেজ।

 লেখক কলামিষ্ট।