Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

বন্যপ্রাণীর প্রতি কেন এই নিষ্ঠুরতা!

অক্টোবর ২১, ২০১৫, ০৬:১৯ এএম


বন্যপ্রাণীর প্রতি কেন এই নিষ্ঠুরতা!

খাবারের সন্ধানে বন্যহাতির পালের লোকালয়ে ঢুকে পড়া নতুন নয়। তাই হাতি যাতে ক্ষেতের ফসল ও সম্পদের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ সংঘবদ্ধভাবে নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে। তাতে হাতির উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তু জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সীমান্তে মাখনের চরের গ্রামবাসী হাতির পাল ঠেকাতে যে পদ্ধতি অবলম্বন করলেন, তাতে বন্যপ্রাণীর প্রতি মানুষের মমত্ববোধ প্রকাশ পায় না। বরং এতে নিষ্ঠুর মনোভাবেরই প্রকাশ ঘটে। সমকালে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, শনিবার রাতে ওই এলাকায় ভারতীয় বন্যহাতির দল হানা দিতে এলে দুটি হাতি বৈদ্যুতিক তার জড়ানো ফাঁঁদে আটকে যায়। এর পর শুরু হয় লাঠিপেটা। এতে প্রাণ যায় ওই দুই হাতির। শুধু তাই নয়, মৃত হাতির দাঁত, শুঁড় ও কান কেটে নেয় মানুষ। বন্যহাতি তো আর আমাদের মতো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বোঝে না যে, তারা সীমান্তে এসেই নিজ দেশে ফিরে যাবে। বন্যপ্রাণীর কাছে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়াও একটা বড় আপদ। কারণ তারা চায় অবাধ বিচরণক্ষেত্র। কিন্তু আমরা যারা নিজেদের মায়া-মমতার আধার ও মনুষ্যত্বের দাবিদার মনে করি তাদেরই একটি অংশ বন্যহাতির প্রতি সম্মিলিতভাবে যে আচরণ করলাম, তা কি কোনো মাপকাঠিতে ক্ষমার যোগ্য? বুঝলাম, বন্যহাতির দল ওই এলাকায় মাঝে মধ্যেই হানা দিয়ে ফসলের ক্ষেত নষ্ট করে। কিন্তু এ জন্য কি অবৈধভাবে বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদে আটকে হাতিকে মেরে ফেলতে হবে! এভাবে বন্যপ্রাণী হত্যা যে শাস্তিযোগ্য অপরাধের পর্যায়ে পড়ে, তা গ্রামবাসী জানতেন নাথ সেটা বিশ্বাস করা কঠিন। তারা জানেন বলেই হাতি মারার পর এখন কেউ দায় স্বীকার করছে না। আমরা এভাবে ফাঁদ পেতে হাতি মারার নিন্দা জানাই। যারা হাতি মারার হোতা তাদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে এভাবে হাতি বা অন্যান্য বন্যপ্রাণী হত্যা করা না হয়, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্বও প্রশাসনের।