Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে সফলতার শীর্ষে বাবর

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম ব্যুরো

মে ১৩, ২০২২, ০৯:২৭ পিএম


বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে সফলতার শীর্ষে বাবর

একজন রাজনীতিবিদ তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের মধ্যে সফলতার ঝুড়িতে বিভিন্ন রকম অর্জন থেকে থাকে। পদ-পদবী এমপি মন্ত্রিত্ব ইত্যাদি ইত্যাদি। চট্টগ্রামের মধ্যে অনেক সফল রাজনীতিবিদ রয়েছেন। যারা রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ সফলতা শীর্ষস্থানটি দখল করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকে প্রয়াত হয়েছেন। 

তবে পঞ্চাশোর্ধে এমন রাজনীতিবিদদের মধ্যে সফলতার শীর্ষস্থানটি স্পর্শ করতে পেরেছেন খুবই নগণ্য। এর মধ্যে সম্প্রতি ঘুরেফিরে আলোচনায় এসেছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। তার এই সীমিত সময়ের রাজনীতিকে বর্ণাঢ্য রাজনীতি বলে উল্লেখ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

তবে বর্তমানে নেই কোনো তার বড় পদ পদবী। এরপরও রাজনৈতিক ক্যারিয়ার মধ্যে সফলতার শীর্ষস্থানটি দখল করে আছেন তিনি। রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করা একটি প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করেছেন, ভয়ঙ্কর এবং মরণব্যাধি করোনাভাইরাস রোগে যখন দেশসহ বিশ্বকাপছে। তখন কেউ বুঝে উঠতে পেরেছিল না প্রতিরোধক উপায়। সবদিকে থমথমে এক আতঙ্কজনক অবস্থা বিরাজ করছিল। সরকার ঘোষিত লকডাউনে অর্থনৈতিক মন্দা অবস্থা। ঠিক তখনই মানবতার দূত হিসেবে হাজির হলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। তিনি হাজার হাজার অসহায় মানুষকে করোনার দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। যাদের খাবারের প্রয়োজন হয়েছে তাদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন। যাদের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়েছে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে নগরীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যখন যেখানে প্রয়োজন টিম হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ছুটে গেছেন। মানুষ যখন হেয়ালিপনাই, অসামর্থ্য বা অসচেতনতায় মুখে মাক্স পরা এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকতেন। 

ঠিক তখনই হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর আবিষ্কার করেন করোনা প্রতিরোধ বুথ। চট্টগ্রাম নগরীর আনাচে-কানাচে বসান করোনা প্রতিরোধ বুথ। বুথের সামনে দাঁড়িয়ে হাত বাড়ালেই চলে আসতো হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাক্স। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মাক্স ব্যবহার করে অনেকে ফেলে দিত না। তবে তার বুথ আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে পথচারী মুহূর্তের থেকে মুহূর্ত মাক্স ব্যবহার প্রচলন শুরু হয়েছিল। এই করোনা প্রতিরোধ বুথ সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের মধ্যে করোনা প্রতিরোধ আবিষ্কার এবং করোনাকালীন অসহায় মানুষকে অসহায়ত্ব বুঝতে না দেওয়া একটি হচ্ছে অন্যতম সফলতা।

প্রত্যেক রমজান মাসে টানা ৩০ দিন অসহায় রোজাদারদের জন্য ইফতার সেহেরী ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়াসহ তাদের সাথে একসাথে বসে ইফতার সেহেরী করা ইত্যাদি করে মানবতার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। প্রত্যেক ধর্মের বড় উৎসবে একইভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কাছে অধিকতর প্রিয় মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন নিজেকে। এটি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার মধ্যে অন্যতম সফলতা।

এছাড়া জামাত-বিএনপির ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে চট্টগ্রামের মধ্যে আওয়ামী রাজনীতির ঘরেনারদের  যেভাবে অত্যাচার করেছিলেন ঠিক তখন নিজেকে অন্যরকম আবিষ্কার করে দলের কাছে একমাত্র ভরসার স্থানটি দখল করেছিলেন। মামলা হামলা কোন কিছু তাকে দমাতে পারেনি। মিথ্যে মামলায় জর্জরিত হয়েছিলেন তিনি। এমন সময় ছিল কারাগার থেকে বেরিয়ে ফের কারাগারে যেতে হয়েছিল। চট্টগ্রাম নগরীর মধ্যেই তার হাজার হাজার ছাত্র ও যুবকরা তার রাজনীতির প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নৌকা বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনা ছাড়া কোন কিছুই বুঝেন না। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার মধ্যে এটি রাজনৈতিক সফলতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হেলাল আকবর চৌধুরী তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সফলতার শীর্ষস্থানে পৌঁছে গেছেন।

আমারসংবাদ/কেএস 

Link copied!