Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

আদম পাচার চক্রের প্রতারণায় সৌদিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ২ যুবক

তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি

তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি

মে ১৫, ২০২২, ০৭:২৯ পিএম


আদম পাচার চক্রের প্রতারণায় সৌদিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ২ যুবক

ভোলার তজুমদ্দিন ও চরফ্যাশনের দুই যুবক আদম পাচারের খপ্পরে পরে সৌদি আরবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। জেলার সোনালী আলো ট্রাভেলস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৭ লক্ষ টাকা চুক্তিতে দুজনে সৌদি আরব গিয়ে এমন পরিস্থিতির শিকার বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তাদের পরিবারের পক্ষ হতে বোরহান উদ্দিন থানায় আদম ব্যবসায়ী মঞ্জু হাওলাদার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি তারা। 

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, বোরহান উদ্দিনের এক আদম ব্যবসায়ী মঞ্জু হাওলাদারের মাধ্যমে সাত লক্ষ টাকায় মার্কেটে ট্রলি ম্যানের কাজের চুক্তিতে সোদি ভিসা সংগ্রহ করে তারা। পরে গত ৫ ফেব্রুয়ারি দুইজন সৌদি আরবে যাওয়ার পর থেকে ভিসা জটিলতায় পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। 

ভুক্তভোগী দুই যুবক তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর নতুন হাট সংলগ্ন কাদির মাষ্টার বাড়ির রহিম পাটওয়ারী ছেলে মোঃ রাকিব এবং তার ভাগিনা চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিন আইচা থানার চর আইচা গ্রামের মঞ্জু রহমান ফরাজীর ছেলে সজীব ফরাজী। 

রোববার (১৫ মে) প্রবাসী রাকিবের পিতা রহিম পাটওয়ারী তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগে জানান, মঞ্জুর হাওলাদার বিদেশে লোক পাঠানো নামে প্রতারণা করে আসছে। আমার ভাই ও ভাগিনাকে তার মালীকানাধীন সোনালী আলো ট্রাভেলসের মাধ্যমে শপিংমলের কর্মি হিসেবে ৭ লক্ষ টাকা চুক্তিতে সৌদি আরবে পাঠাই। সেখানে যাওয়ার পর তাদেরকে যেই কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছে, তা না দিয়ে তার লোকেরা দুজনকে অন্য জায়গায় আটকিয়ে রেখেছেন। 

সজীবের বাবা মঞ্জু ফরাজী জানান, এর আগে অন্য কাজ দিবে বলে তিনবার আমার ছেলেকেসহ দুজনকে অন্য কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করে দেন। পরে রাকিব ও সজিব সেখান থেকে পালিয়ে বাড়িতে ফোন করে। এখন দুজনেই সৌদি পুলিশের ভয়ে না খেয়ে খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। এই নিয়ে মঞ্জুর হাওলাদারকে জানালেও কোন কর্নপাত করছেনা। আমরা বোরহানউদ্দিন থানায় অভিযোগ করেও এখনো সুরাহা পাইনি। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, গত ১২ এপ্রিল (সোমবার) ৩ জন যাত্রীর ফ্লাইট হওয়ার কথা হলেও তাদের এখনও ফ্লাইট হয়নি। তাদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন আমাদেরকে ফ্লাইট দিবে বলে এক সাপ্তাহ আগে ঢাকায় আনা হয়। কিন্তু এখনও কোন খোঁজ খবর নাই। 

এদিকে সোনালী আলো ট্রাভেলসের মাধ্যমে সারাদেশ থেকে শতশত যুবককে প্রবাসে চাকুরি দেয়ার নাম করে প্রতারিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বোরহান উদ্দিন অফিসের কর্ণধার ও মঞ্জু হাওলাদারের সহোদর রিপন হাওলাদার দাবি করেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে প্রবাসে কর্মি পাঠায়। এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়। রাকীব ও সজীব সৌদি যাওয়ার পর পালিয়ে গেছে। পরে তাদের আত্মীয়রা থানায় অভিযোগ করলে সেখানে একটা সমযোতা হয়েছে। আমরা ১ লক্ষ টাকা দিয়ে তাদের অন্য কোম্পানীতে আকামা দেয়ার ব্যবস্থা করছি। 

আমারসংবাদ/কেএস 

Link copied!