Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

উপবৃত্তি ফরম ও ইউনিক আইডি নামে অতিরিক্তি টাকা আদায়

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

মে ১৭, ২০২২, ০৩:৪৬ পিএম


উপবৃত্তি ফরম ও ইউনিক আইডি নামে অতিরিক্তি টাকা আদায়

নেত্রকোনার মদনে উপবৃত্তি ফরম ও ইউনিক আইডি নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্তি টাকা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়ম বহিভূর্ত ভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করায় বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জাকারিয়া চন্দন নামের এক শিক্ষার্থী অভিভাবক। 

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক হাজারের বেশী শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে থেকে উপবৃত্তি ফরম ও ইউনিক আইডি নামে অতিরিক্ত টাকায় আদায় করা হয়েছে। 

শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে উপবৃত্তি ফরম ও ইউনিক আইডি বাবদ টাকা আদায় করার কোন নিয়ম-নীতি নেই। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২৪০ টাকা করে আদায় করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামনান। 

অবৈধ ভাবে শিক্ষার্থীদের কয়েক লাখ টাকা প্রধান শিক্ষক আদায় করায় অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপবৃত্তির ফরম ও ইউনিক আইডি নামের প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্যেও বন্ধের দাবিতে গত ১৪ মে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর শিক্ষার্থী অভিভাবক জাকারিয়া চন্দন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

এছাড়া আরো অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান নিজের সুবিধার্থে বেলা ১ টার সময় বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দেন। স্থানীয় লোকজন মৌকিক ভাবে বিষয়টি শিক্ষা অফিসে জানালে ঘটনার সত্যত্যা পেয়ে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়। 

নাাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, স্যার বলছে উপবৃত্তি ফরম ও ইউনিক আইডির জন্য ২৪০ টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে উপবৃত্তি দেওয়া হবে না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েছি। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান জানান, এখন ব্যস্ত আছি। একটু পরে কথা বলি। পরে তার মুঠোফোনটি বন্ধ করে দেন। 

উপজেলা একাডেকিম সুপারভাইজার জোসনা বেগম জানান, উপবৃত্তি ও ইউনিক আইডির নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। বালালী বাঘমারা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক টাকা আদায় করার ব্যপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন অবস্থায় আছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আমারসংবাদ/এআই

Link copied!