Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

মিলন হত্যাকাণ্ডের দুই দিনের মাথায় গ্রেপ্তার ৪

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

মে ১৭, ২০২২, ০৪:৫৬ পিএম


মিলন হত্যাকাণ্ডের দুই দিনের মাথায় গ্রেপ্তার ৪

নাটোরে ইজিবাইক চালক খোরশেদ আলম মিলন (৩২) কে হত্যার তদন্ত শুরুর আগেই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের দুই দিনের মাথায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোঃ সজিব হোসেন (১৯), মোঃ মেহেদী হাসান (২২), মোঃ রবিউল ইসলাম (২৩) ও মোঃ সাগর আলী (৪০) নামে চারজনকে গ্রেফতার সহ খোয়া যাওয়া ইজিবাইক উদ্ধার করেছে।

মঙ্গলবার (১৭ মে) বেলা ১২ টার দিকে নাটোর পুলিশ লাইনন্সে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এক প্রেস ব্রিফিং এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মোঃ সজিব হোসেন লালপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মোঃ নাজমুল হোসেনের ছেলে, মোঃ রবিউল ইসলাম একই এলাকার -মোঃ আরজ আলীর ছেলে, মোঃ মেহেদী হাসান নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া (গাওপাড়া ঢালান) এলাকার মোঃ আসাদুল মিস্ত্রির ছেলে ও মোঃ সাগর আলী দস্তানাবাদ এলাকার মৃত সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সজিব আদালতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।  

লিটন কুমার সাহা বলেন, গত ১৪ মে গ্রেপ্তারকৃতরা যাত্রিবেশে বনপাড়া বাইপাস মোড় এলাকা থেকে চালক খোরশেদ আলম মিলনের ইজিবাইক আড়াইশ টাকায় ভাড়া নিয়ে লালপুরের কদমচিলান এলাকার দিকে যায়। তারা চালক মিলনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে ভিকটিমের মালিকানাধীন ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন সন্ধার দিকে স্থানীয়রা ঘাটচিলান গ্রামস্থ কদিমচিলান-ঈশ্বরদী রাস্তার পাশে জনৈক মোঃ আব্দুস সামাদ (সাবেক মেম্বার) এর মালিকানাধীন আখ ক্ষেতে খোরশেদ আলম মিলনের মুখের মধ্যে মাটি ভরা অবস্থায় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ রাতেই মৃতদেহ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। 

এ ঘটনায় মিলনের পিতা বড়াইগ্রাম উপজেলার মহিষভাঙ্গা গ্রামের ফখরুল ইসলাম বাদি হয়ে লালপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। 

পুলিশ সুপার আরো জানান, এই হত্যাকান্ডের খবর পাওয়ার পর তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জেলার চৌকস অফিসারের সমন্বয়ে পুলিশ ও ডিএসবির ৬টি টিমের নিরলস পরিশ্রমে দ্রুত সময়ে ঘটনার সাথে জড়িত আসামি মোঃ সজিব হোসেনকে ১৬মে সকালে তার বসতবাড়ি হতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর আসামি সজিবকে ঘটনা সংক্রান্তে নিবিড় ও গভীরভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় মেহেদী হাসান, রবিউল ইসলাম এবং অপর একজন মিলে ভিকটিমের ইজি বাইকটি ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। ভিকটিম মিলন আসামি সজিব ও রবিউলের পূর্ব পরিচিত হওয়ায় রাতে তারা বনপাড়া হতে ২৫০/- টাকা ভাড়ায় ঘাটচিলান গ্রামে যায়। ভিকটিমের ইজি বাইকটি নতুন হওয়ায় তারা সেটি ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে। ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

আমারসংবাদ/কেএস 

Link copied!