Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

নীলফামারীর চালের বাজার অস্থিরতার মূলেই মিল মালিকরা

আল-আমিন, নীলফামারী

আল-আমিন, নীলফামারী

মে ২৩, ২০২২, ০৩:৫৩ পিএম


নীলফামারীর চালের বাজার অস্থিরতার মূলেই মিল মালিকরা

খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা নীলফামারীর চালের বাজারও অস্থির হতে শুরু করেছে। ক্ষনে ক্ষনে বৃদ্ধি পাচ্ছে সব ধরনের চালের দাম। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কেজিতে ৩-৪ টাকা দাম বেড়েছে সকল প্রকার চালের। 

বাজারে মনিটরিং না থাকায় চাল ব্যবসায়ী ও মিলারদের পোয়াবার অবস্থা। তাদের ইশারায় নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে চালের বাজার। দু’দিন আগেও যে মোটা চাল ৪২-৪৩ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল সে চাল এখন ৪৫-৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ২৮ চাল এক লাফে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা পাইকারি এবং খুচরা বাাজারে তা ৫৭-৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে মিনিকেট চালেরও। ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও দুই একদিনের ব্যবধানে তা এখন ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 

খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, চালের বাজার অস্থিরতার মূলেই হচ্ছে অসাধু মিল মালিকরা। স্থানীয় বাজারে পর্যাপ্ত চালের মজুদ থাকার পরেও ঐ মালিকদের কারনেই চালের বাজার বেসামাল হয়ে পড়ছে। তাদের অভিযোগ মিল মালিকরাই নিয়ন্ত্রন করছেন চালের বাজার। তাদের ইশা-ইঙ্গিতেই ওঠানামা করে চালের দাম। মিল মালিক ও চাল আড়তদারদের গুদামে হ্জাার হাজার মন ধান-চাল মজুদ থাকার পরেও বাজারে চালের মুল্য বৃদ্ধির পিছনে বাজার মনিটরিং না থাকাকেও দায়ী করছেন অনেকে। 

তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র দাবি করে জানায়, জেলার ৯০ ভাগ হাসকিং মিল বন্ধ থাকায় গুটি কয়েক অটো রাইস মিলের কব্জায় চলে গেছে চালের বাজার। 

অপরদিকে দাম বেড়েছে সবধরনের ভোগ্য পণ্যের। প্যাকেটের গায়ে লেখা কোম্পানির মূল্য তালিকা ছাপিয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে মশার কয়েল, আটা, চিনি, তেল, লবনসহ সকল পণ্যই। বেড়েছে বেকারি বিস্কুট রুটির দাম। কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়েছে মসুর ডাল থেকে শুরু করে সব ধরনের ডালের। প্যাকেটজাত আটার দামও বেড়েছে কেজিতে ৪-৫ টাকা। দাম বেড়েছে মাছ মাংসেরও। সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ১০০ টাকা। গো মাংসের কেজি এখন সাড়ে ৬’শ টাকা। ৪’শ থেকে সাড়ে চারশ টাকা কেজি দরে দেশী মুরগী বিক্রি হলেও সোনালী মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৭০ টাকা কেজি দরে। ডিমের দামও বেড়েছে হালিতে ৩-৪ টাকা। পিঁয়াজ-রশুনের বাজারও চড়া। নীলফামারী শাখামাছা বাজারে দেশী পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আর রশুনের দর কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় উঠেছে। 

স্থানীয় ভোক্তাদের অভিযোগ বাজারে মনিটরিং না থাকায় অসাধু ব্যাবসায়ীরা ইচ্ছে মতো চাল, ডাল, তেল, চিনি, কয়েল থেকে শুরু করে সব ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রন করছেন। চালের বাজার নিয়ন্ত্রনে স্থানীয় চালকল মালিক, ডিলার ও ব্যবসায়ীদের আড়তে হানা দেয়ার পাশাপাশি নামে বেনামে বিভিন্ন গ্রামেগঞ্জে গুদাম ভাড়া নিয়ে মজুদ করে রাখা ধান-চাল বাজারে আনা গেলেই চোখের পলকেই চালের বাজার নিয়ন্ত্রিত হবে বলে খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি।

আমারসংবাদ/কেএস

Link copied!