Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪,

‍‍`গড়াই সেতুর মাধ্যমে বদলে যাবে কয়েক জেলার অর্থনীতি‍‍`

পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

মে ২৪, ২০২২, ০১:৪৩ পিএম


‍‍`গড়াই সেতুর মাধ্যমে বদলে যাবে কয়েক জেলার অর্থনীতি‍‍`

রাজবাড়ী-মাগুরা দুই জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে গড়াই নদী। দুই জেলার মানুষের যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়াই নদীর উপর দিয়ে নির্মিত হচ্ছে ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু। 

সোমবার (২৪ মে) বিকাল ৫টার দিকে নির্মাণাধীন সেতুর কাজ পরিদর্শন করেছেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম।

এসময় সাংসদ জিল্লুল হাকিম এমপি ও তার সহধর্মীনি মিসেস শাহিদা হাকিমকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন-নির্মাণাধীন সেতুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম এম বিল্ডার্স এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) বাবুল আক্তার।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মাদ আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো, অসাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল ওহাব মণ্ডল, পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার সুফল মাহমুদ, পাংশা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওদুদ সরদার অতুর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম শফিকুল মোর্শেদ আরুজ, উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি কামাল আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সরদার (রেজা), উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি শাহিদুল ইসলাম মারুফ কসবামাজাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান পিল্টু জোয়াদ্দার প্রমুখ।

এসময় সাংসদ জিল্লুল হাকিম বলেন, গড়াই নদীর উপর দিয়ে সেতু হবে এটা আমাদের স্বপ্ন ছিল। রাজবাড়ী-মাগুরা দুই জেলার মানুষের সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেতুটি নির্মাণ হয়ে গেলে দুই জেলার মানুষের যোগাযোগ বাড়বে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে বলে তিনি জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মাদ আলী জানান, প্রতিনিয়ত নির্মাণ কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন। এখন পর্যন্ত কাজের গুণগত মান ঠিক রয়েছে বলে জানান তিনি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা জীবনে কোন দিন ভাবতেই পরিনি যে গ্রাম গঞ্জের মধ্যে দুই জেলার সংযোগের জন্য এত বড় একটি সেতু নির্মাণ হবে। সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত।

কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহরিয়ার সুফল মাহমুদ বলেন, মাগুরার মানুষ এই সেতুর উপর দিয়ে ঢাকা গেলে প্রায় ৩৬ কিলোমিটার পথ কমে যাবে।

এম এম বিল্ডার্স এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) বাবুল আক্তার জানান, গত বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে আমরা এই সেতুর কাজ শুরু করেছি। ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করা কথা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে বলে জানান তিনি।

আমারসংবাদ/এআই

Link copied!