Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

অনিয়মের পিছু ছাড়ছে না স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারীর

বরিশাল প্রতিনিধি 

বরিশাল প্রতিনিধি 

মে ২৪, ২০২২, ০৪:৫১ পিএম


অনিয়মের পিছু ছাড়ছে না স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারীর

বরিশাল শহরের সাগরদী এলাকার রফিকুল ইসলাম ওরফে রফিক হাওলাদারের ছেলে মনিরুল ইসলাম ১৫ বছর আগে অফিস সহকারী পদে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। তবে তিনি অফিস সহকারী হওয়া সত্ত্বেও এখন রোগীদের দেন প্রেসক্রিপশন এমনই এক অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণি পাস এ কর্মচারী নাকি ছোটো খাটো অপারেশনও করেন। এছাড়াও কমিশনে উপজেলার অন্যান্য ক্লিনিক ও হাসপাতালে রোগী পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, মুলাদী উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারী মনিরুল ইসলামের কাছে। তার বিরুদ্ধে কর্তব্যরত চিকিৎসককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করারও অভিযোগ রয়েছে। সেই ঘটনার পরও বহাল তবিয়তে আছেন মনিরুল। 
মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চাকরিরত অন্যান্যরা অভিযোগ করে বলেন, মনিরুল ইসলাম যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। মনিরুল মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরও দুই থেকে তিনজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়ে গড়ে তোলেন একটি সিন্ডিকেট। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে তিনি নিজেই এপ্রোন পড়ে দেখতে থাকেন রোগী। এমনকি জখমিদের সেলাই থেকে শুরু করে ছোট খাটো অপারেশনও করেন তিনি। তার অনিয়মে প্রতিবাদ করলে মনিরুল ইসলাম তখনকার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করেন। পরে বরিশালের সিভিল সার্জন তাকে বদলি করে হিজলা উপজেলায় পাঠান। সেখানে গিয়েও একই ধরনের সিন্ডিকেট গড়ে তোলে মনিরুল। হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও স্বাস্থ্যসেবা উন্নত হলেও, মনিরের সিন্ডিকেট উপজেলার অন্যান্য হাসপাতালে রোগী পাঠিয়ে দিতো কমিশন বাণিজ্যের জন্য। সেখানকার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বাঁধা দিলেও, তাকেও লাঞ্ছিত করেন বলে মনিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফের তাকে একই অপরাধে বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদে বদলি করলেও আচরণে পরিবর্তন আসেনি। এজন্য তাকে ডিমোশন দিয়ে ফের বদলি করা হয় মুলাদী উপজেলায়। সেখানেও একই ধরনের অভয়ারণ্য গড়ে তোলেন মনির। 

স্থানীয় অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় মনিরুলের সিন্ডিকেট অবৈধ কাজে দাপিয়ে বেড়ালেও তার বিরুদ্ধে কঠোর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বরিশাল সিভিল সার্জন। 

এদিকে, সামান্য অফিস সহকারী পদে চাকরি করে বরিশাল শহরে জমি কিনেছেন মনিরুল। সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে হাউজিং এলাকায় গড়েছেন বাড়িও। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, র্দীঘ দিন ধরে একটি প্রতিপক্ষ আমার ক্ষতি করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন স্থান থেকে বদলী হওয়ার বিষয়য়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমার শ্বাশুরী অনেক অসুস্থ থাকার কারনে আমি বেশ কয়েকদিন অফিস করতে পারিনি। এবং আমি অফিস থেকে কোন ছুটিও নেইনি। তাই কতৃপক্ষ আমাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বদলী করেন। 

রোগীদের সেলাই এবং চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়য়ে জানতে চাইলে বলেন, আমি একজন এমএলএস। কতর্বরত চিকিৎসকের অনুমতিতেই রোগীদের সেলাই করেছি। তবে বিষয়টি আমার ভুল হয়েছে আর হবে না। 

আমারসংবাদ/কেএস 

Link copied!