Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

রেলওয়ে সেতু যেন মরণফাঁদ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

আশরাফুল ইসলাম তুষার, কিশোরগঞ্জ

আশরাফুল ইসলাম তুষার, কিশোরগঞ্জ

মে ২৪, ২০২২, ০৯:৪৫ পিএম


রেলওয়ে সেতু যেন মরণফাঁদ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

বৃটিশ আমলে তৈরি ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রেললাইনের নরসুন্দা নদীর উপর শোলাকিয়া-একরামপুর যে সংযোগ রেলসেতুটি রয়েছে তা মরণফাদে পরিণত হয়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঝুঁকিপূর্ণ এই রেলসেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস মহানগর ট্রেন আসা যাওয়া করে। 

এছাড়াও লোকাল ট্রেন আসা যাওয়া করে। তাছাড়াও প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই রেলসেতু টি ব্যবহার করে এপার থেকে ঐপারে যেতে। যার ফলে দিন দিন সেতুটির অবস্থা নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃটিশ আমলে রেলসেতুটি কাঠের দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। সেতুটির কাঠের তক্তাগুলি অনেক জায়গায় খুলে পড়ে গেছে। কাঠ না থাকায় অনেক জায়গা ফাকা হয়ে গেছে। যেখান দিয়ে চলাচল করা বা ট্রেন চলে খুবই বিপদজনক। অনেকগুলি স্লিপার ভেঙ্গে পড়ে গেছে। স্লিপারের সাথে লাগানো হুকবোল্ট গুলো নষ্ট ও চুরি হয়ে গেছে, যার ফলে যেকোন সময় বড় ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে এখানে।

সাধারণ যাত্রী এবং স্থানীয় বাসীন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সংস্কার না করা এবং রক্ষণাবেক্ষণ এর অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে সেতুটি। প্রতিদিন এই রেলসেতু দিয়ে মহানগর এবং লোকাল ট্রেন চলাচল করে এবং স্থানীয় কয়েকহাজার মানুষ প্রতিদিন এ সেতুটি ব্যাবহার করে শোলাকিয়া থেকে একরামপুর আসা যাওয়ার জন্য। সেতুটির এমন ভগ্নদশা হলেও সেতুটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোন উদ্যোগ নেই কোন মাথা ব্যাথা। তাই যাত্রী এবং পথচারীরা সব সময় আতঙ্কিত থাকে।

সেতুসংলগ্ন মার্কেটের ব্যাবসায়ী বিল্লাল মিয়া জানান, রেলসেতু টি বৃটিশ আমলে তৈরি। আমরা ছোট বেলা থেকে যেরকম দেখে আসছি এখনো সেরকম ই আছে। কোন সংস্কার হয়নি। বরং দিন দিন সেতুটির কাঠ এবং স্লিপার গুলো খুলে পড়ে যাচ্ছে, যার ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা আছে। এজন্য রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে সেতুটি সংস্কারে যেন দ্রুত উদ্যোগ নেয়।

স্থানীয় সোহান বলেন, রেল লাইনের পাশে নেই রেলিং। কাঠ পড়ে গেছে, স্লিপার গুলোও উঠে গেছে অনেক আগেই। যার ফলে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এ রেলসেতুর সংস্কার করা খুবই জরুরী। 

কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে গিয়ে যোগাযোগ করা হলে ঊর্ধ্বতন উপ সহকারী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান রাজন ও টাইম কিপার মামুনুর রশিদ লাইনে আছে বলে জানা যায়।

স্টোর কিপার রুবেল জানান, রেলসেতুটি ঠিক করার মত কাঠ নেই। কাঠের তালিকা দেয়া হয়েছে। কাঠ আসলে রেলসেতুটি ঠিক করা হবে।

আমারসংবাদ/এআই

Link copied!