Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

স্কুল ছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় প্রেমিকের ৫ বছর কারাদণ্ড

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

মে ২৫, ২০২২, ০৬:২৬ পিএম


স্কুল ছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় প্রেমিকের ৫ বছর কারাদণ্ড

টাঙ্গাইলে স্কুল ছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় প্রেমিকের ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় আটজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

 বুধবার (২৫ মে) দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাউদ হাসান এ রায় দেন। রায়ে দন্ডিত ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের করাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দন্ডিত ওই ব্যক্তির নাম মাধব চন্দ্র পাল (৩৩)। তিনি টাঙ্গাইল পৌরসভার এনায়েতপুর এলাকার সুশীল চন্দ্র পালের ছেলে। টাঙ্গাইলের সরকারি কৌশুলী (পিপি) এস আকবর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দন্ডিত মাধব পালের সাথে তাদের পাশ্ববর্তী বাড়ির সত্যরঞ্জন পালের মেয়ে ও জেলা সদর হাইস্কুলের নমব শ্রেনীর ছাত্রী বিথী রানী পালের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে মাধব তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ২০১৫ সালের ১৫ মে বিথী ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসার পর সুস্থ্য হলে এলাকায় শালিশী বৈঠকে মাধবের সাথে তার বিয়ের দিন ধার্য হয়। কিন্তু মাধব ফোনে বিথীকে জানায় চাপে পড়ে বিয়েতে রাজি হয়েছেন। বিয়ের পর বিথীকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। তিনি বিথীকে আত্মহত্যা করতে বলেন। ২০১৫ সালের ১৯ মে সকালে এই ফোন পাওয়ার পর বিথী কান্নাকাটি শুরু করে এবং তাদের বসতঘরে দরজা বন্ধ করে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।

ঘটনার পর বিথীর বাবা বাদি হয়ে ওই দিনই মাধব, তার বাবা সুশীল পাল, মা আলো রানী পালসহ নয়জনকে আসামী করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষে সংগঠনটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আতাউর রহমান আজাদ মামলার বাদিকে আইনগত সহায়তা দেন। রায় ঘোষণার পর দন্ডিত মাধব পালকে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আমারসংবাদ/কেএস

Link copied!