Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

তিস্তার পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপরে

আল-আমিন, নীলফামারী

আল-আমিন, নীলফামারী

জুন ১৯, ২০২২, ০৩:৩৯ পিএম


তিস্তার পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপরে

নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি রোববার (১৯ জুন) সকাল ৬টায় বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর সকাল ৯ টায় ৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শনিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিজ দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ তা বেড়ে সকাল ৬টায় ১২ সেন্টিমিটারে গিয়ে দাঁড়ায়। ওই পয়েন্টে বিপদসীমার ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ পাঠক ও পানি পরিমাপক মো. নুরুল ইসলাম তিস্তার পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। আজ হঠাৎ করে আবারো পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষ।

সুত্র জানায়, উজানের পাহাড়ী ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা নদীতে। এর ফলে দশটি ইউনিয়নের প্রায় ৮ হাজারেরও বেশি পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

ডিমলা উপজেলার পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, হঠাৎ করে ফের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা নদী বেষ্টিত এক হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে চর এলাকার মানুষজন হাটু পানিতে চলাচল করছে। দেখা দিয়েছে সুপেয় পানি ও খাদ্য সমস্যা।

উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম বলেন, লোকজন পানি বন্দি হয়ে পড়ায় কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। তারা শুকনো খাবার খেয়ে কোন রকমে বেঁছে আছেন। গত চারদিন ধরে তারা ছেলে মেয়ে নিয়ে বিপাকে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা প্রিন্স জানান, উজানের পাহাড়ী ঢলে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৫ সেন্টি.) ৫ সেন্টিমিটার নিচ বন্যার পানি প্রবাহিত হয়।

আমরা দেখছি বড় ধরনের কোথাও সমস্যা তৈরি হলে তাৎক্ষনিক মোকাবেলা করা হবে। তিনি বলেন, বন্যার পানি সামাল দিতে ব্যারাজের ৪৪ টি জলকপাট (সুইস গেট) খুলে রাখা হয়েছে। পাউবোর কর্মকর্তা কর্মচারী সজাক রয়েছে।

জানতে চাইলে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তাবেস্টিত এলাকার প্রায় ৫০০ পরিবারের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ে। আমরা এমন ১৫০ পরিবারকে তাৎক্ষনিক ভাবে শুকনা খাবারসহ ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। এছাড়াও জেলা প্রশাসন থেকে আরো এক হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার পেয়েছি। দ্রুত তা বন্যার্তদের মাঝে বিতরন করা হবে।

আমারসংবাদ/এআই 

Link copied!