খোকসায় হাত পা বাঁধা অজ্ঞান গৃহবধূকে উদ্ধার

কুষ্টিয়ার খোকসায় হাত পা মুখ বাঁধা অবস্থায় সজ্ঞাহীন গৃহবধূ রোজিনা খাতুন (৩০)কে রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করেছে গ্রামবাসী।

শুক্রবারন (২৪ জুন) ভোরে উপজেলা সদর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে কাদিরপুর গ্রামের মুসল্লিরা ফজরের নামাজে যাওয়ার সময় সজ্ঞাহীন অবস্থায় গুংড়াতে (এক জাতীয় শব্দ) দেখে ওই গৃহবধূকে রাস্তার পাশ থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। সজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে প্রথমে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রোজিনা এই গ্রামের আব্দুর রউফ শিকদারের স্ত্রী। গৃহবধূর দুইটি পুত্র সন্তান রয়েছে আশিক ও আমীর হামজা নামে। তার স্বামী পেশায় একজন মিঠাই তৈরীর শ্রমিক  হওয়ায়। ঘটনার রাতে সে ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে মাগুড়া জেলায় অবস্থান করছিলেন।

কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ দৈনিক আমার সংবাদ কে জানান, রাতে সে তার মায়ের সাথে ফোনে কথা বলে ঘরে ঘুমতে যান। গভীর রাতে মুখ ঢাকা ৫ জন লোক তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার হাত মুখ পা বেঁধে জোর করে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়। হামলাকারীরা তাকে প্রথমে মাঠে নেবার চেষ্টা করে। পরে তাকে রাস্তায় নিয়ে গেলে এক পাগলের চিৎকারে তাকে ফেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা গৃহবধূর পেট ও গলায় পাড়া দিয়ে ধরেছিল বলে অভিযোগ করেন। আহত গৃহবধূ হামলাকারীদের কাউকে চিনেন নাই  বলে তিনি জানান।

উদ্ধারকারী প্রতিবেশী জিল্লুর রহমান জানান, তার ছেলে বন্ধুর সাথে ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যাচ্ছিল। এ সময় হাত মুখ পা বাঁধা নারীকে দেখে তাকে খবর দেয়। তিনি গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গৃহবধূর ওপর এমন নির্মম হামলা হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

আহত গৃহবধূর শ্বশুর খোরশেদ শিকদার বলেন, তার পুত্রবধূ অনেক রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোনে কথা বলেছে। তার পরে ভোর বেলায় তিনি খবর শোনে পুত্রবধূ রাস্তায় পরে আছে।

গৃহবধূর স্বামী আব্দুর রউফ শিকদার জানান, তিনি ব্যবসায়ীক কাজে বাইরে ছিলেন। খবর পেয়ে চলে এসেছেন। স্ত্রী সুস্থ্য হলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। তবে গ্রামে কোন শত্রু নেই বলেও তিনি দাবি করেন। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন তিনি।

খোকসা থানার ওসি তদন্ত মামুনুর রশিদ জানান, তিনি ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু রোগীনিকে রেফার্ড করায় তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন নি। গৃহবধূর শ্বশুর বাড়িতে লোক পাঠানো হয়েছিল, সেখানে কোন আলামত মেলেনি। বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন অভিযোগ তিনি পান নি।