Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

খালের মাটি দিয়ে সড়ক সম্প্রসারণ

সোনাপুর-চেয়ারম্যানঘাট সড়ক দেবে পড়ছে খালে

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী প্রতিনিধি

জুলাই ৫, ২০২২, ০৮:২৫ পিএম


সোনাপুর-চেয়ারম্যানঘাট সড়ক দেবে পড়ছে খালে

নোয়াখালীর নিঝুম দ্বীপ, হাতিয়া, ভাসানচর এবং স্বর্ণদ্বীপে পর্যটক টানতে ২০১৮ সালের ৭ আগস্ট ১৬৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সোনাপুর থেকে চেয়ারম্যানঘাট সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়।

সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় পাশে সড়ক সম্প্রসারণ করার জন্য বাহির থেকে মাটি এনে ভরাটের কথা থাকলেও ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠানগুলো সড়কের পাশের খাল থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে সড়কের পাশ সম্প্রসারণ করেন। 

বর্তমানে ওই সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ পর্যায়ে। এখনো কাজ বুঝে নেয়নি সড়ক বিভাগ। কাজ বুঝে নেওয়ার আগেই সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে সড়ক দেবে খালে পড়ছে। খালের মধ্যে মাটি সরে যাওয়ায় কয়েকটি স্থানে সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটিও খালের মধ্যে ঝড়ে পড়েছে।

নোয়াখালী সড়ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সোনাপুর-চেয়ারম্যানঘাট সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সালেহ আহম্মদ এন্ড মাইশা কনস্ট্রাশন, এমএস সালেহ আহম্মদ এন্ড মাহমুদুর রহমান (জেবি) ও মজিদ সন্স কনস্ট্রাশন লিমিটেড। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখনো কাজ বুঝে নেয়া হয়নি।

সোনাপুর-চেয়ারম্যানঘাট সড়কের সোনাপুর-মান্নাননগর অংশের বাসিন্দা মোজ্জামেল হোসেন, আমির হোসেন, জাকের হোসেন বলেন, সড়কের কাজের শুরুতেই পাশে সড়ক সম্প্রসারণ করতে পাশের খাল থেকে ভেকু মেশিন মাটি কেটে সড়কের পাশ বৃদ্ধি করা হয়, যার কারণে চলতি বর্ষার মৌসুমে সড়কের কাজ শেষ পর্যায়ে এলে নির্মাণাধীন সড়কের বেশ কিছু অংশে সড়ক দেবে খালের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। ঝড়ে পড়েছে সড়কের পাশের বিদ্যুতের খুঁটি। শুধু সড়ক দেবে পড়া নয়, সড়ক নির্মাণে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগও তোলেন এই বাসিন্দারা।

চেয়ারম্যানঘাট এলাকার বাসিন্দা মোক্তার হোসেন, আরিফুল ইসলাম জানান, এই সড়কের উন্নয়ন আমাদের দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত চাওয়া। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কের উন্নয়ন কাজে অত্যন্ত নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছেন। অদৃশ্য ব্যক্তির ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতেও পারছে না।

আটকপালিয়া এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম, সুমন সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রাণের জেলা নোয়াখালীর নিঝুম দ্বীপ, হাতিয়া, ভাসানচর এবং স্বর্ণদ্বীপে পর্যটক টানতে এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরকার এই সড়ক উন্নয়নের প্রকল্প পাস করেন। কিন্তু সড়কের যে নিন্মমানের কাজ হয়েছে, তাতে সড়ক বেশি দিন টিকবে না। এই সড়ক উন্নয়নে ঠিকাদার নিজের মনমতো কাজ করেছেন। সড়ক বিভাগের তেমন নজরদারী ছিল না।

নোয়াখালী সড়ক বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ জানান, সোনাপুর থেকে চেয়ারম্যানঘাট সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে। বর্ষায় অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে দু-একটি স্থানে সড়কের পাশের মাটি সরে গিয়ে সড়কের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো পুনরায় সংস্কার করে দিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাজ পরিপূর্ণ শেষ না হলে কাজ বুঝে নেয়া হবে না।

আমারসংবাদ/এআই

Link copied!