Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

রামপালে বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনায় মামলা

সুজন মজুমদার, রামপাল

সুজন মজুমদার, রামপাল

জুলাই ৭, ২০২২, ০৫:৪০ পিএম


রামপালে বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনায় মামলা

বাগেরহাটের রামপালে সরকারিভাবে বন্দোবস্তো থাকা সত্ত্বেও একটি পরিবারের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে তাড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-১৯/২২। ভুক্তভাগী ওই পরিবারটি গত এক বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করেও রেহাই পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আবারো হামলা করা হবে এমন হুমকি দেয়া হয়েছে। 

উপজেলার বাঁশতলী এলাকার মৃত আ. হাকিমের ছেল আ. গনি মৃধা (৫৭) জানান, পার্শ্ববর্তী পেড়িখালি ইউনিয়নের কুমারখালি মৌজায় তার মা লাকি বেগম ১০০১ নং দাগের ৫০ শতক খাস জমি সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্তো নেন। তিনি আনুমানিক ১৮ বছর ধরে ওই জমিতে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন। 

জানা যায়, একই এলাকার মৃত ইসরাফিল শেখের পুত্র মো. রাজিব শেখ বিগত ২০২১ সালের ৮ আগস্ট বেলা ১১টায় ৫/৬ জন লোক নিয়ে আ.গনির ওই বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে মালামালা টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। 

এ ঘটনার সময় আ. গনি বাড়িতে না থাকায় প্রতিবাদ করেত এগিয়ে আসেন ওই এলাকার জাহারুল শেখ। এসময়ও তাকে মারধর করা হয়। এরপর রাজিব আ. গনির মা ও স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে দখল করে নেয়। 

গত এক বছর ধরে আ. গনি তার পরিবার নিয়ে আজ এখানে কাল ওখানে এভাবে মানবেতর জীবন যাপন করেও রেহাই পাচ্ছে না। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে মারধর করা হবে এমন হুমকি দিয়েছে ওই রাজিব।

এদিকে রাজিব আ. গনির বাড়ি ঘর ভেঙ্গে সেখানে একটি পাল্ট্রি মুরগির ফার্ম করেছে। 

এ বিষয়ে রাজিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আ. গনি যে জায়গায় বসবাস করতো সে জায়গা তার না। তার বদোবস্তো প্রাপ্ত ৫০ শতক জমি পাশের কুতুব উদ্দিনের ঘেরের মধ্যে রয়েছে। 

সেই জমি কুতুব উদ্দিনের ঘের ম্যানেজার সাইদুরের কাছে লাগায়ে হারি নেয়। এখানে আ. গনি সরকারি জায়গা দখল করে বসবাস করতো। সে সরকারি জমি দখল করে এক সময় পজেশন বিক্রি করতো। আমি ওই জায়গায় স্থানীয় এক ব্যাক্তির কাছ থেকে কিনে এখন একটি মুরগির খামার করেছি। 

একটি ব্যাংক চেক ডিজঅনার মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় কিভাবে তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি ওয়ারেন্ট থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, বাদীর সাথে একটা মিমাংশা হয়েছে। 

ভুক্তভোগী আ. গনির অভিযোগ আমি স্থানীয় এক ব্যক্তির রাইস মিলে কাজ করতাম। একটি কথিত চুরির ঘটনায় মিল মালিক আমাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আমি ওই টাকা দিতে না পারায় তিনি আমার বসত বাড়ি রাজিবের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। আমি পরবর্তীতে ২৫ হাজার টাকা ফেরৎ দিয়েও আমার জায়গা ফেরৎ পাচ্ছি না। 

তিনি আরো বলেন, গত ২৫/৫/২০২২ তারিখ রাজিব আমাকে বেধে রেখে মাছ লুট করে নিয়ে যায়। আমি বাধ্য হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে আদালত থেকে রামপাল থানায় পাঠানা হয়। থানার এস আই আসাদুজ্জামান ইতিমধ্যে তদন্ত করেছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হবে বলে তিনি জানান। 

Link copied!