Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

বাগেরহাটে দুই ইউপি সদস্যদের উপর হামলার অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাট প্রতিনিধি

আগস্ট ১, ২০২২, ০৪:৪২ পিএম


বাগেরহাটে দুই ইউপি সদস্যদের উপর হামলার অভিযোগ

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের নির্দেশেই  ইউপি সদস্যদের উপরে হামলা হয়েছে। এছাড়া অনিয়মের প্রতিবাদ করায় একমাস ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এক ইউপি সদস্য।

মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আহত ইউপি সদস্য মোঃ জাকির হাজরা।

জাকির হাজরা বলেন, ২৮ জুলাই রাতে কচুয়া উপজেলা সদর থেকে ফুটবল খেলা দেখে আমরা সবাই মিলে বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্যে মাধবকাঠি এলাকায় পৌছালে ধোপাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের নির্দেশে তার ছেলে শাহিন, শ্রমিক লীগ নেতা মাসুদ হাওলাদার ও সাইদুল মাঝির নেতৃত্বে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন আমাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে।

এসময়, আমার বড় ভাই সেলিম হাজরার মুদিদোকান ভাংচুর ও নগদ এক লক্ষ ১৫ হাজার লুট করে নেয় তারা। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী মাধবকাঠি এলাকার বাসিন্দা ইউপি সদস্য মামুনুর রশীদ, মামুনের ভাই আতিয়ার ও জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থলে পৌছালে, তাদের কাছে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ২ লাখ টাকা মাসুদ হাওলাদার ও সাইদুল মাঝি ছিনিয়ে নেয়। আমার নিজের ও  ইউপি সদস্য মামুনুর রশীদের এবং এবাদুল হাওলাদেরর মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা  উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আমরা এই চেয়ারম্যানের অপসারণ ও হামলাকারীদের বিচার চাই।

ধোপাখালি ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিম বলেন, চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে মকবুল হোসেন নিজের ইচ্ছেমত পরিষদ চালায়। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতার কার্ড বিক্রি করে টাকা নেয়। এলজিএসপিসহ পরিষদের সকল বরাদ্দ সে তার নিজের ইচ্ছেমত ব্যয় করে। কোথায় কি কিভাবে বরাদ্দ ব্যয় হয়, তা সদস্যদের জানানো হয় না। এসব জানতে চাইলে চেয়ারম্যানের রোশানলে পড়তে হয় আমাদের। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললে তার রোশানলে পরতে হয়। চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের জীবন নাশের হুমকীতে এক মাস ধরে এলাকায় ফিরতে পারছি না। আমার স্ত্রী ও সন্তান শশুর বাড়ি আশ্রায় নিয়েছে।

৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মামুনুর রশীদ বলেন, শাহিন, মাসুদ হাওলাদার, সাইদুল মাঝি শুধু এই ঘটনা নয় এর আগেও তারা এলাকায় ত্রাসের রাজ্য কায়েম করেছে। সাইদুল মাঝির ঘেরে ৩-৪ বছর আগে ফেনসিডিলের বস্তা পেয়েছিল প্রশাসন, তাদের নামে একাধিক চাঁদাবাজী, মাদক, চুরি ও ছিনতায়ের মামলা রয়েছে কচুয়া ও বাগেরহাট মডেল থানায়। এলাকাবাসীকে মাদক ও চাঁদাবাজীর হাত থেকে বাঁচাতে এই মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন এই জনপ্রতিনিধি।

সংবাদ সম্মেলনে ধোপাখালি ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মামুনুর রশীদ, ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিম, মাধবকাঠি এলাকার আহত হেদায়েত হাজরা ও এবাদুল হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে ধোপাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়ায় আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করতে এধরনের অভিযোগ আনা হয়।

Link copied!