লোটাস আহম্মেদ, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর)
নভেম্বর ২০, ২০২২, ০৩:৪৩ পিএম
লোটাস আহম্মেদ, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর)
নভেম্বর ২০, ২০২২, ০৩:৪৩ পিএম
কাতারে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ ফুটবল আসর বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের এবারের আসরের দুটি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজে জড়িত ছিলেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মাসুদ রানা। কাতারে তাকে অনেকে চেনেন হারুনুর রশীদ নামে।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের অন্যতম ভেন্যু ‘লুসাইল’ এবং ‘আল জানিয়্যুব’ স্টেডিয়াম। এই দুটি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজে সরাসরি জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়ে যাওয়া ও নিয়ে আসার দায়িত্বে ছিল মাসুদ রানার। মাসুদ রানা ঘোড়াঘাট উপজেলার ভাতছালা গ্রামের আব্দুর রহমান সরকারের ছোট ছেলে।
১৯৯৪ সালে ঘোড়াঘাট ডিগ্রি কলেজ থেকে স্মাতক শেষ করে দুবাই যান মাসুদ। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে দেশে ফিরে আসেন। ২০১২ সালে পাড়ি জমান কাতারে।
২০১৯ সালে কাতার বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মান কাজে যোগ দেন মাসুদ। সে সময় স্টেডিয়াম দুটির পাইলিং এর কাজ চলছিল। তিনি কর্মচারী-কর্মকর্তাদেরকে আনা নেয়ার কাজে ব্যবহারিত গাড়ির প্রধান চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিশ্বকাপের এবারের আসরে ‘লুসাইল’ স্টেডিয়ামটিতে উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচ সহ মোট ১০টি খেলা হবে। স্টেডিয়ামটিতে ৮০ হাজার দর্শকাসন আছে।
অপরদিকে ‘আল জানিয়্যুব’ স্টেডিয়ামে মোট ৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। নৌকার অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে এই স্টেডিয়াম।
মাসুদ রানা কাতারের হামাদ বিন খালিদ (এইচবিকে) কোম্পানীতে চাকুরি করেন। ‘লুসাইল’ ও ‘আল জানিয়্যুব’ স্টেডিয়ামটিতে ট্রাভেল এজেন্সি হিসেবে দায়িত্ব পায় কাতারের এইচবিকে কোম্পানী। এই কোম্পানীর প্রধান চালক ছিলেন মাসুদ রানা।
কিছুদিন আগে ছুটিতে দেশে এসেছেন মাসুদ রানা। স্টেডিয়াম নির্মানের নানা অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণকাজে জড়িয়ে পড়াটা স্বপ্নের মতো। দুটি স্টেডিয়াম নির্মানের অনেক স্মৃতি আমার মনে আজীবন গাঁথা খাকবে।
বিশাল একটা বিশ্ব ইভেন্টে কাজ করতে পারাটাও অনেক গর্বের ব্যাপার। কত বড় বড় তারকা খেলবেন এই মাঠে, এটা ভেবেই ভালো লাগছে যে, এমন এক কাজে একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমার হাতের ছোঁয়া আছে।’
মাসুদ রানার বড় ভাই রয়েল বলেন, ‘সবকিছুর ওপরে হচ্ছে নিজ দেশকে বহিঃবিশ্বে রিপ্রেজেন্ট করা। আমার ছোট ভাই মূলত দেশের সুনাম অক্ষুন্ন রেখে কাজ করছেন। সত্যি আমরা গর্বিত ও ধন্য।’
এআই