Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

দুধে গোসল করে ছাত্রলীগ থেকে বিদায় নেয়া নেতাকে কুপিয়ে জখম

মো. মাসুম বিল্লাহ

নভেম্বর ২৭, ২০২২, ০১:৩৬ পিএম


দুধে গোসল করে ছাত্রলীগ থেকে বিদায় নেয়া নেতাকে কুপিয়ে জখম

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় দুধ দিয়ে গোসল করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ছাত্রলীগ নেতা আরমিন আহমেদকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এর আগে উপজেলা ছাত্রলীগের কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে ক্ষোভে দুধ দিয়ে গোসল করে সংগঠনটি থেকে বিদায় নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে আলোচিত হন তিনি। 

শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর বাইপাস সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

আরমিন আহমেদ উপজেলা সদরের বড়বাড়ি এলাকার বাসিন্দা। পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা ছাত্রলীগের ১ নম্বর সহ-সভাপতি।

পাকুন্দিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.মজিবুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। আরমিনের সঙ্গে থাকা মুন্না নামে একজনের বরাতে তিনি জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার আগেই তার সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। কে বা কারা হামলা করেছে এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।  

পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আহত আরমিন আহমেদ পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক এবং পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

আহত আরমিন মিয়ার সহপাঠী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিল্লাল হোসেন পাপ্পু জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর তারা দুজন মিলে একটি মোটরসাইকেলে করে ব্যাবসায়িক কাজে উপজেলার থানাঘাট এলাকায় গিয়েছিলেন। কাজ শেষে তারা রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন।

এ সময় মির্জাপুর বাইপাস সড়কের মাঝখানে পৌঁছলে সম্মুখ দিক থেকে একটি মাইক্রোবাস এসে তাদের পথরোধ করে। আট-দশজনের একদল যুবক মাইক্রোবাস থেকে নেমে এসে তাদের ঘিরে ধরে আরমিনকে মারধর শুরু করে। এ সময় তার সহপাঠী বিল্লাল হোসেন পাপ্পু বাধা দিতে গেলে তিন-চারজন যুবক তাকে ধরে আটকে রাখে। একপর্যায়ে সশস্ত্র যুবকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আরমিনকে কুপিয়ে সড়কে ফেলে তার সঙ্গে থাকা সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান।  

তিনি আরো জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আরমিনের মাথা ও পিঠে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয় লোকদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। হামলার ঘটনায় কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাহিদ হাসান সুমন বলেন, এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টিএইচ

Link copied!