Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

নীলফামারীতে পাঁচটি দৃষ্টিনন্দন বধ্যভূমির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন

আল-আমিন, নীলফামারী

আল-আমিন, নীলফামারী

নভেম্বর ২৭, ২০২২, ০২:১০ পিএম


নীলফামারীতে পাঁচটি দৃষ্টিনন্দন বধ্যভূমির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন

নীলফামারীর ছয় উপজেলায় নয়টি বদ্ধভূমি রয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার জন্য ব্যবহার বদ্ধভূমিসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের বড়বাধা হয়ে রয়েছে জমিগুলো বুঝে না পাওয়ায়।

জেলা প্রশাসন কর্তৃক জমিগুলো বুঝে পেলেই জেলা গণপূর্ত বিভাগ দরপত্র সহ যাবতীয় কার্যক্রম শুরু করবেন। নয়টি বদ্ধভূমির মধ্যে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি দৃষ্টিনন্দন বদ্ধভূমির নির্মাণ কাজ হয়েছে, তবে জমি জটিলতার কারনে চারটি বদ্ধভূমি অযত্ন-অবহেলায় পরে রয়েছে।

জেলায় বদ্ধভূমিগুলো হলো, সদরে একটি খালিশাপাড়া চৌধুরী পাড়া শুটিপাড়া বদ্ধভূমি। ডোমার উপজেলায় রয়েছে তিনটি চিলাহাটি ভোগডাবুড়ি, মির্জাগঞ্জ খানপাড়া, প্রশ্চিম বোরাগাড়ী, ডিমলা উপজেলায় রয়েছে একটি সঠিবাড়ী বাজার গয়াবাড়ী, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে একটি বাহাগিলি বসুনিয়াপাড়া (নেথার বাজার) বদ্ধভূমি, জলঢাকা উপজেলায় রয়েছে একটি কালিগঞ্জ গোলনা বদ্ধভূমি, সৈয়দপুর উপজেলায় রয়েছে দুইটি বোতলাগাড়ী  কয়া ও কয়া গোলাহাট বদ্ধভূমি।

সদর: সদরে রয়েছে একটি বদ্ধভূমি। খালিশাপাড়া চৌধুরী পাড়া শুটিপাড়া বদ্ধভূমিটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে অবস্থিত। ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে অবস্থিত হওয়ার কারনে জরাজীর্ন অবস্থায় অযত্নে আর অবহেলায় পরে রয়েছে বদ্ধভূমিটি। বাঁশের ঝোপঝাড় ছারা আর কিছু নেই ওখানে। স্থানীয়রা জানান বদ্ধভূমিটি এখন বাঁশের তল নামে পরিচিত। সংস্কারের জন্য জরুরী ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন।

ডোমার: ডোমার উপজেলায় রয়েছে তিনটি বদ্ধভূমি। তারমধ্যে দুইটিতে বদ্ধভূমি নির্মাণ কাজ চলমান। চিলাহাটি ভোগডাবুড়ি বদ্ধভূমির জায়গার পরিমাণ ১৫ শতক, সেখানে নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। মির্জাগঞ্জ খানপাড়া বদ্ধভূমির জায়গার পরিমাণ ১৯ শতক সেখানে নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। প্রশ্চিম বোরাগাড়ী বদ্ধভূমিটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে অবস্থিত। তাই অযত্ন আর অবহেলায় পরে রয়েছে বদ্ধভূমিটি। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন বদ্ধভূমিটি নির্মানের জন্য জরুরী ভূমি অধিগ্রহনের প্রয়োজন।

ডিমলা: ডিমলা উপজেলায় রয়েছে একটি বদ্ধভূমি। সঠিবাড়ী বাজার গয়াবাড়ী বদ্ধভূমির জায়গার পরিমাণ ১৯ শতক। তিস্তা নদী এলাকায় হওয়ায় জায়গাটি অনেক নিচু। জায়গাটি মাটি ভরাট ও রিটেইনিং ওয়াল করার জন্য প্রকল্প পরিচালক বরাবর প্রশাসনিক অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে একটি বদ্ধভূমি। বাহাগিলি বসুনিয়াপাড়া (নেথার বাজার) বদ্ধভূমি, ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে অবস্থিত হওয়ার কারনে জরাজীর্ন অবস্থায় অযত্ন আর অবহেলায় পরে রয়েছে বদ্ধভূমিটি। স্থানীয়রা জানান বদ্ধভূমিটি সংস্কারের জন্য জরুরী ভূমি অধিগ্রহনের প্রয়োজন।

জলঢাকা: জলঢাকা উপজেলায় রয়েছে একটি বদ্ধভূমি। কালিগঞ্জ গোলনা বদ্ধভূমি। ২০১৮ সালে নীলফামারী এলজিইডি কর্তৃক নির্মান কাজ করা হয়েছে।

সৈয়দপুর: সৈয়দপুর উপজেলায় রয়েছে দুইটি বদ্ধভূমি। বোতলাগাড়ী  কয়া ও কয়া গোলাহাট বদ্ধভূমি। দুইটি পাশাপাশি মৌজার সীমানায় অবস্থিত হওয়ার কারনে প্রকৃতপক্ষে বদ্ধভূমি একটি করা হয়। ২০১৮ সালে নীলফামারী এলজিইডি কর্তৃক নির্মান কাজ করা হয়েছে।

নীলফামারী গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তৌহিদুজ্জামান বলেন, ডোমার উপজেলা মির্জাগঞ্জ বদ্ধভুমি সহ পাঁচটির কাজ  সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা কেটে গেলে অন্যান্য বধ্যভূমি গুলোর  কাজ দ্রুত  করা হবে।

জানতে চাইলে  জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের বলেন, বদ্ধভূমিগুলো যেনো স্মৃতিময় হয়ে থাকে আমরা সেদিকে নজর রাখি সবসময়। যেসব বদ্ধভূমি এখনও নির্মান করা হয়নি সেগুলো জমি সংক্রান্ত বা অন্য কোন সমস্যা থাকলে দ্রুত সমাধান করে নির্মান করার ব্যবস্থা করা হবে।

এআই

Link copied!