Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

‘আমি গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছি, আজ রাতেই শেষ হয়ে যাবো’

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

নভেম্বর ২৭, ২০২২, ০৩:১৯ পিএম


‘আমি গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছি, আজ রাতেই শেষ হয়ে যাবো’

ইসমাইল হোসেন (৩০) নামে এক যুবক বিয়ে করেছিলেন শাকিলা নামের এক নারীকে। একটি সন্তান থাকা অবস্থায় কিছুদিন পর সে সংসার ভেঙে যায়। পরে সে দ্বিতীয় বিয়ে করে প্রথম বউয়ের চাচাতো বোন সোনিয়া নামের এক নারীকে। সেই থেকে দ্বিতীয় বউকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন ইসমাইল। গত ৫ দিন আগে প্রথম ঘরের সন্তানকে দেখতে এলাকায় আসে সে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে সে ফুফু শাশুড়িকে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি ইঁদুর মারা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছি, আজ রাতেই শেষ হয়ে যাবো। আমার লাশ নিয়ে আসিয়েন।’ সেই থেকে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার পরিবারের লোকজন।

রোববার (২৭ নভেম্বর) সকালে ভুট্টার জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায়। ওই দিন ভোরবেলা পৌর এলাকার শ্যামপুর-লালমাটি গ্রামে কাফির বিলের পাশে মতিয়ার মিয়ার ভুট্টার জমিতে এক যুবকের পড়ে থাকা মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

পুলিশের ধারণা সে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় পারিবারিক নানা অশান্তিতে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।

নিহত ইসমাইল উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউপির ঋষিঘাট গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে। সে পেশায় এক্সকেভেটরের (ভেকু) চালক সহকারী (হেলপার) ছিলেন।

নিহত যুবকের চাচা খোকা শেখ বলেন, ‘নিহত ইসমাইল গত ৫ দিন আগে ঢাকা থেকে ঘোড়াঘাটে আসে। সে লালমাটি গ্রামে তার আপন ভগ্নিপতি লাবু মিয়ার বাড়িতে রাত্রীযাপন করত। সে তার ফুফু শাশুড়িকে মোবাইলে গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়ার কথা বলে। তারপর আমরা সবাই তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছি। তবে তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। কেন সে আত্মহত্যা করলো তা আমরা বুঝতে পারছি না।’

ঘোড়াঘাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীদ পারভেজ বলেন, ‘আমার এলাকার লোকজন জমিতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে আমাকে খবর দেয়। পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে থানায় খবর দেই। নিহত যুবকের দুটি শশুর বাড়ি এবং আপন ভগ্নিপতির বাড়ি আমার ওয়ার্ডে। পরিবারের কাছে থেকে শুনেছি ছেলেটা নেশাগ্রস্থ ছিল।’

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, ‘আমরা লাশ করে থানায় নিয়ে এসেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে। পরিবারের তেম কোন অভিযোগ নেই। ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা।’

কেএস 

Link copied!