নেত্রকোনা প্রতিনিধি
জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, ০৮:৩৫ পিএম
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, ০৮:৩৫ পিএম
নেত্রকোনার পূর্বধলায় মাইক্রোবাস থামিয়ে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের দুই সহযোগী পালিয়ে যায়।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরআগে শনিবার রাতে উপজেলার হোগলা ইউনিয়নের উকুয়াকান্দা সড়কে ওপর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পূর্বধলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুলের ছেলে মো. তুষার আহম্মদ (৩৫) ও দেওটুকুন এলাকার নজরুল তালুকদারের ছেলে বাপ্পা (৩৫)।
পূর্বধলা থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে উপজেলার উকুয়াকান্দা সড়কে একটি মাইক্রোবাসকে দুটি মোটরসাইকেলে পথরোধ করে চার ব্যক্তি। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে মাইক্রোবাসের চালক ও হেলপারকে নামিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়।
এ সড়ক দিয়ে যেতে হলে তাদেরকে মাসোহারা দিতে হবে বলে তাদের পকেটে থাকা পাঁচ হাজার ১৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে ফোন করে বাড়ি থেকে আরো এক লাখ টাকা আনতে বলে ডিবি পরিচয়ধারীরা। মাইক্রোবাসের হেলপার মো. আনোয়ার হোসেন কৌশলে পুলিশকে এ ঘটনা ফোনে জানায়। ঘটনা জেনে পুলিশ দ্রুত সেখানে গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে তুষার আমম্মেদ ছাড়া বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে তুষারের দেওয়া তথ্যে রাতেই বাপ্পাকে আটক করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে পালিয়ে যাওয়াদের নাম জানায় তুষার। তারা হলো- পূর্বধলা উপজেলার মহিষবেড় গ্রামের মো. বাচ্চু (৪৫) ও ভিকুনিয়া গ্রামের সাগর আহম্মদ (৩৪)।
পূর্বধলা থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পূর্বধলায় পুলিশের পরিচয়ে ছিনতাই-চাঁদাবাজি করছিল এই চক্রটি। আর এদিকে মানুষ তাদের সত্যিকার পুুলিশ ভেবে আমাদের নামে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে নালিশ করছিল। আমরা এ বিষয়টি নিয়েয় বিব্রত ছিলাম। অনেকদিন থেকেই ওই চক্রটিকে ধরার জন্য চেষ্টা করছিলাম। এবার তাদের হাতেনাতে ধরতে পেরেছি।
তিনি আরও জানান, তুষার এ কাজে তার সম্পৃক্ততা বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ ঘটনায়য় করা মামলায় ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে এ চক্রের পালিয়ে যাওয়া দুইজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
এআরএস