Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

জনপ্রতিনিধির মাদকসেবনের ভিডিও ভাইরাল

আব্দুল কাইয়ুম

ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩, ০১:৩৬ পিএম


জনপ্রতিনিধির মাদকসেবনের ভিডিও ভাইরাল

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরুর নিজ অফিসে বসে মাদকসেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এতে জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঘটনা তদন্তে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদে উপস্থিত হন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম।

জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে অফিস করেন ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু। সেই অফিসে বসে মাদকসেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ভাইস চেয়ারম্যান মিরু তার অফিসে দুইজন লোকসহ বসেছিলেন।

এ সময় লুঙ্গি পরিহিতা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া এলাকার কানিপাড়া গ্রামের জাফর আলীর ছেলে একাধিক মাদক মামলায় অভিযুক্ত ইউসুফ (৪২) রুমে প্রবেশ করে সোফায় বসেন।

ওই ব্যক্তির কোমরে থাকা একটি ফেনসিডিলের বোতল কৌশলে মিরুর হাতে দেন। এরপর ভাইস চেয়ারম্যান মিরু তা নিয়ে টয়লেটে চলে যান। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়।

এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করেছেন লালমনিরহাটের স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম।

বুধবার সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেন তিনি। এ সময় ভাইস চেয়ারম্যান ও তার হাতে বোতল তুলে দেওয়া ব্যক্তি ইউসুফ আলীসহ সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গে কথা বলেন উপপরিচালক।

হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যন আনোয়ার হোসেন মিরু বলেন, আমি মাদক নেইনি। আমার শারিরীক ও গোপন সমস্যার জন্য ইউসুফ নামের ওই ব্যক্তি ওষুধের বোতল দিয়েছেন।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন বলেন, অফিস কক্ষে বসে মাদক সেবনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম এই তদন্ত করছেন।

হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে কমিটি ব্যবস্থা নেবেন।

তদন্ত কর্মকর্তা লালমনিরহাট স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, এখনও তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাচ্ছে না।

এআরএস

Link copied!