Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

কুষ্টিয়ায় বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া

ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ০৫:৩৯ পিএম


কুষ্টিয়ায় বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

প্রতিবছর ৪ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে ক্যান্সার দিবস পালিত হয়ে আসছে। ২০২৩ সালের প্রতিপাদ্য “ক্লোজ দ্যা কেয়ার গ্যাপ” যা বংলায় যত্নের ফাঁক বন্ধ করুন। ক্যান্সার চিকিৎসায় বৈষম্য দূরীকরণই এর অভিষ্ট লক্ষ্য। সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও প্রাণঘাতি ক্যান্সার সর্ম্পকে সচেতনতা তৈরী করতে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে দিবসটি পালন করছে।  

এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুষ্টিয়ায় ডা: তোফাজ্জল হেলথ কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডা: লিজা নার্সিং ইনস্টিটিউট, ডা: লিজা-ডা: রতন ম্যাটস, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি ও সাফ'র আয়োজনে আলোচনা সভা, পদযাত্রা ও লিফলেট ক্যাম্প‌ইন অনুষ্ঠিত হয়। 

সাফ'র নির্বাহী পরিচালক মীর আব্দুর রাজ্জাক এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা: এএফ‌এম আমিনুল হক রতন ও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা: আছমা জাহান লিজা। 

বক্তারা বলেন, বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৮২ লাখ মানুষ ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখের বেশী ক্যান্সার রোগী রয়েছে। প্রতিবছর প্রায় দুই লাখেরও বেশী মানুষ ক্যান্সার ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে এবং প্রায় এক লাখ আট হাজার মানুষ মারা যায়। ৩৬ ধরণের ক্যান্সারে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, যার মধে স্তন, জরায়ু, ফুসফুস,মুখ, খাদ্যনালি, হাড়, পাকস্থলী, চোখ, কলোরেক্টাল অন্যতম। এ সকল রোগে আক্রান্তদের ভোগ করতে হয় অবর্ণনীয় কষ্ট এবং চিকিৎসায় ব্যয় হচ্ছে প্রচুর অর্থ ও সময়। ভয়াবহ ক্যান্সারসহ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসতন্ত্র এর মতো অসংক্রামক রোগ সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার। একটু সচেতন হলেই অনেকাংশে  এই রোগগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব। ফাস্টফুড, কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিঙ্কস, মোড়কজাত ক্যামিক্যাল জুস ও চিপসসহ সকল প্রকার অস্বাস্থ্যকর খাদ্যই ক্যান্সারসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। 

জনমানুষের সচেতনতাবোধ  ক্যান্সারের প্রকোপ কমাতে সাহার্য্য করে এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সামাজিক আন্দোলন ও উন্নত ক্যান্সার কেয়ার সেন্টার খুবই জরুরী। এই বছরের প্রতিপাদ্যের মূল উদ্দেশ্য হল কীভাবে আমরা ক্যান্সার কেয়ার গ্যাপটি বন্ধ করতে পারি, এর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে। ক্যান্সারে আক্রান্ত সবাই কিন্তু একই রকম যত্ন পায় না। তারা যে ধরনের চিকিৎসা, তথ্য এবং সহায়তা পাচ্ছে তা তাদের অবস্থান, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, লিঙ্গ এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় দ্বারা প্রভাবিত। 
ক্যান্সার কেয়ারে গ্যাপ বা ব্যবধানগুলো দূর করতে হবে। যেমন, ক্যান্সারের যত্নে আর্থিক ব্যবধান, ক্যান্সার কেয়ারে ইনফরমেশন গ্যাপ, ক্যান্সার কেয়ারে অ্যাক্সেস গ্যাপ, ক্যান্সার কেয়ারে টেকনোলজি গ্যাপ, ক্যান্সার কেয়ার কম্প্যাশন গ্যাপ, ক্যান্সার কেয়ার প্রতিষ্ঠানের গ্যাপ ইত্যাদি। আপনিও  ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এই লড়াইএ যোগ দিতে পারেন! সচেতনতা প্রচার করুন, নিজেকে পরীক্ষা করুন, হেলদি লাইফস্টাইল বেছে নিন, মাদক ও  তামাক ছাড়ুন, নিয়মিত ব্যায়াম করুণ। প্রতিরোধ নিরাময়ের চেয়ে ভাল। তাই প্রতিটি জেলা উপজেলায় প্রিভেন্টিভ অনকোলজি ইউনিট চালু জরুরী। ফাস্টফুড ও জাঙ্কফুড এর উপর উচ্চ হারে কর আরোপ করতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রচারণা বা স্পন্সরশীপ বন্ধ করতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পরিবেশের ক্ষতিকর দিক সর্ম্পকে গণমানুষকে সচেতন করতে ব্যাপক কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। স্বাস্থ্যই সম্পদ। স্বাস্থই সকল সুখের মূল। সুস্থ দেহ সুস্থ মন। তাই জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে সমস্ত কর্ম পরিকলপনা গ্রহণ করতে হবে।

কেএস 

Link copied!