ভোলা প্রতিনিধি
জুলাই ৫, ২০২৫, ১১:৩৮ পিএম
ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার সম্ভূপুর ইউনিয়নের মুচিবাড়ী মোড় থেকে খাসের হাট বাজার পর্যন্ত ৫.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বেহাল সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ায় স্থানীয় অর্ধলাখেরও বেশি মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ কমেছে।
গত দুই বছর ধরে এই সড়কে ব্যাপক খানাখন্দ ও ধুলোবালু থাকায় রিকশা, গাড়ি এবং জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত চলাচল করতে পারতো না। ফলে স্কুল–কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটত।
এদিকে দীর্ঘ বছর পর ওই সড়কটি নির্মাণে এলাকাবাসী স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে।
শনিবার রাস্তাটির নির্মাণ কাজ অনুসন্ধানে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক ইলিয়াস সানি বলেন, শিক্ষার্থীরা বেশ দুর্ভোগে পড়তো, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময় আমরা ভেবেই নিই যে এ রাস্তাটি আর হয়ত মেরামত হবে না। কিন্তু রাস্তাটি সুন্দর এবং স্বাভাবিকভাবে নির্মিত হওয়ায় বর্তমান সময় এসে আমাদের সেই শংকা কেটে গেছে।
অটোচালক রায়হান বলেন— সড়কে খানাখন্দ থাকায় এ রাস্তায় চলাচলকারী সবাই দুর্ভোগে পড়ত। এখন রাস্তার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় আমরা বেশ স্বস্তি পাচ্ছি। এখন যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ দুইই কমেছে।
এনজিও কর্মী রাহাত হোসেন বলেন- রাস্তাটি পুরনো হওয়ায় এর বেশি অংশই ছিল খানাখন্দে ভরা এবং এ রাস্তা নিয়মিত চলাচলকারী বহু যানবাহন বিকল হয়ে পড়তো, মানুষজনও আহত হত। সড়কটি নতুনভাবে নির্মিত হওয়ায় দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।
রাস্তা নির্মাণ কাজের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার রিয়াজ শিকদার জানান— এখান কার স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের এ রাস্থায় চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হত সঠিকভাবে রাস্তা নির্মাণ কাজ সম্পাদন করার চেষ্টা করেছি এলাকাবাসী ও বেশ সহযোগিতা করেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়- ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় (এলজিইডি) সড়কটি নির্মাণের কাজ শুরু করে। প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ ফুট প্রশস্ত এ সড়কটির পুরোপুরি কাজ এ বছরের চলতি জুলাই মাসের শেষ নাগাদ সমাপ্ত করার কথা রয়েছে।
রাস্তা নির্মাণকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত তজুমদ্দিন উপজেলা (এলজিইডি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আল-আমিন জানান, টেকসই সড়ক নির্মাণে তারা গুণগত মান যাচাই-বাছাই করেই কাজটি করছেন।
এদিকে দীর্ঘ দিনের অবহেলিত এই সড়ক প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয়রা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদেরকে।
ইএইচ