Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

রংপুরে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা

রংপুর প্রতিনিধি

জুন ৩০, ২০১৭, ০১:৫৮ পিএম


রংপুরে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গৃহবধূ মিনারা বেগমকে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্বামী মিজানুর রহমানকে (৩০) আটক করে পুলিশের সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। শুক্রবার (৩০ জুন) সকালে আনন্দীধনিরাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, প্রায় ১০ বছর আগে উপজেলার পারুল ইউনিয়নের মহিষমুড়ী গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে মিনারা বেগমের (২৩) বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের আনন্দীধনিরাম গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমানের। বিয়ের পর থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ মিনারা বেগমের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নিরুপায় হয়ে গৃহবধূ মিনারার বাবা এক লাখ টাকা দেন।

কিন্ত তারপরও থামেনি শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার। এরই একপর্যায়ে আজ শুক্রবার সকালে মিজানুর রহমান তার দূর সম্পর্কের ভাই শহিদুল ইসলামের সহযোগিতায় বাড়ির লোকজন মিলে দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ মিনারা বেগমকে বেদম মারপিট করে। এতে মিনারা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে তারা। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে মিনারা বেগমের লাশ ঘরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু এলাকাবাসী এসে পড়ায় স্বামী মিজানুর রহমান পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এ সময় সে স্ত্রী মিনারা বেগমকে হত্যার কথা এলাকাবাসীর কাছে স্বীকার করে।

নিহত গৃহবধূ মিনারা বেগমের মা আয়েশা বেগম জানান, আমার মেয়ের সুখের জন্য জামাই মিজানুর রহমানকে বিয়ের পরেও এক লাখ টাকা দিয়েছি। তারপরেও আরও ২ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় মেয়েকে প্রায়ই নির্যাতন করতো।

পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার এবং জনতার হাতে আটক মিজানুর রহমানকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় নিহত মিনারা বেগমের ছোট ভাই আল আমিন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।