নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ৩১, ২০২১, ১০:১০ এএম
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি নথি গায়েব বা খোয়া যাওয়ায় ঘটনায় ছয় কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এই ছয় কর্মচারী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি পদমর্যাদার।
রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে তাদের নিয়ে সচিবালয় থেকে বের হয়েছেন সিআইডির সদস্যরা। যে ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে তারা হলেন- জোসেফ, আয়শা, বাদল, বারী, মিন্টু, ফয়সাল।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান যুগান্তরকে জানান, কাউকে আটক করা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার নথি গায়েবের ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
কিন্তু শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। তাই আজ রোববার নথি গায়েবের ঘটনায় সচিবালয়ে তদন্ত শুরু করে সিআইডির ক্রাইম সিনের সদস্যরা।
তারা সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের নিচতলায় (২৯ নম্বর কক্ষ) অতিরিক্ত সচিব মো. শাহাদাৎ হোসাইন ও যুগ্ম সচিব কাজী আনোয়ার হোসেনের কক্ষে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন। এ সময় সবার আঙ্গুলের ছাপ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেক করা হয়। অন্তত ১৩ জনের আঙ্গুলের ছাপ নেয় সিআইডির ক্রাইম সিন।
তদন্তের জন্য এদিন সচিবালয়ে এসেছিলেন সিআইডির বিশেষ সুপার মো. কামরুজ্জামান।
শাহবাগ থানায় করা জিডি বলা হয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর বুধবার অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুর ১২টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই।
যে নথিগুলো খোয়া গেছে সেগুলোর সিংহভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা সম্পর্কিত।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একাদিক প্রকল্পের নথি খোয়া গেছে বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়।
আমারসংবাদ/ইএফ