Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

কক্সবাজারে শুঁটকি উৎপাদনে সাফল্য

প্রিন্ট সংস্করণ॥সফিউল আলম, কক্সবাজার

এপ্রিল ২৩, ২০১৯, ০৮:২০ পিএম


কক্সবাজারে শুঁটকি উৎপাদনে সাফল্য

চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শুটকি উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য এসেছে কক্সবাজারে। অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে রেকর্ট পরিমাণ শুটকি উৎপাদন হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। বিশেষ করে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক, মহেশখালী, সোনাদিয়া, কুতুবদিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় শুটকি উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য এসেছে। পাশাপাশি কীটনাশকমুক্ত শুটকি উৎপাদনের প্রতি তারা সচেতন ছিল। প্রায় ২৫ প্রজাতির মাছ রোদে শুকিয়ে তৈরী করা হয় শুটকি। এরমধ্যে রূপচাঁন্দা, ছুরি, কুরাল, সুরমা, লইট্ট্যা, পোপা অন্যতম। আড়তদার ও শ্রমিকরা বলছেন, দেশের বৃহত্তম শুটকি মহাল কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেকের প্রায় ৩০ হাজার জেলে, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা এই মহালে কাজ করছে। তারা শুটকিতে কোন প্রকার লবণ, বিষ ও বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে শুটকি উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে করে হারানো সুনাম ফিরে পাবে। ইতোমধ্যে ৯৪০টি শুটকি মহালে এক যুগে শুরু হয়েছে বিষমুক্ত শুটকি উৎপাদনের কাজ। এছাড়াও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বেশী শুটকি উৎপাদিত হয়েছে। আর এ কাজে সহযোগিতা করছেন কক্সবাজার মৎস্য সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কক্সবাজার নাজিরারটেক শুটকি মহাল ছাড়াও জেলার উপকূলীয় এলাকা কুতুবদিয়া, মহেশখালী সোনাদিয়া, গোরকঘাটা, তাজিয়াকাটা, কুতুবজোম, কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ, খুদিয়ারটেক, আলি আকবর ডেইল, অংজাখালী, পশ্চিম ধুরুং, টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ, সেন্টমার্টিন, জালিয়াপাড়া, সদর উপজেলার নাজিরারটেক, খুরুশকুল, সমিতিপাড়া, চৌফলদন্ডিসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় বিপুল পরিমাণ শুটকি উৎপাদন হয়ে থাকে।কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক শুটকি মহালের শ্রমিক নুরুল কাদের, মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, মোহাম্মদ কায়সার, সরওয়ার আলম ও শফিকসহ অনেকেই বলেন,কক্সবাজারের নাজিরার টেকে রয়েছে প্রায় এক হাজার শুটকি মহাল। যেখানে প্রতি সপ্তাহে ২ শত টন শুটকি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। যার চাহিদা রয়েছে বিদেশেও। এজন্য আমরা আমাদের শুটকির সুনাম ধরে রাখতে আক্রান্ত পরিশ্রম করবো। তৈরী করবো বিষ মুক্ত শুটকি।কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক মৎস্য ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো: আতিক উল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই বছর আবহাওয়া আমাদের অনুুকুলে ছিল। উপকুলের পরিবেশও বেশ ভাল ছিল। রাজনৈতিক অবস্থা ভাল থাকায় দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার কারণে শুটকির চালান যেতে কোন ধরণের যানবাহনের সমস্যা হয়নি। তিনি আরো বলেন, এই চলতি মৌসুমে আমরা কোন ধরণের বিষ মেশানো থেকে বিরত থাকার শপদ নিয়েছি। বিষ মুক্ত শুটকি উৎপাদন করে প্রয়োজনে বেশী টাকায় বিক্রি করবো। তারপরও বিষ প্রয়োগ করবো না’।