বাজারের হালচাল: বেগুনে আগুন!

অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে বাজারে। মাছ, মাংস, চাল, ডাল, পেঁয়াজ ও রসুনের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে শাক-সবজির দাম।

শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা তথা শাজাহানপুর, উত্তরা, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার, খিলগাঁও বাজার, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, রামপুরা এবং মগবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে সবজির দাম কমে যাওয়া প্রসঙ্গে খিলগাঁও বাজারের বিক্রেতা কাশেম বলেছেন, সরবরাহ আগে থেকে কিছুটা বেড়েছে, তাই দাম কিছুটা কমেছে।

তবে কয়েকজন ক্রেতা বলেছেন উল্টো কথা। তাদের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে বাজারে তদারকিমূলক অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাম কিছুটা কমিয়েছেন বিক্রেতারা।

আজ রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতিকেজি ঝিঙা-ধন্দুল-চিচিঙা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৭০ থেকে ৮০ টাকা আর টমেটো কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

তবে আগুন ধরেছে বেগুনে। প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। এছাড়া কাঁচামরিচ, করলা, উস্তা, পটলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা আর উস্তা ৯০ টাকা টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আর তেলের বাজার আগের বাড়তি মূল্যেই রয়েছে। বর্তমানে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। প্রতিকেজি ডাবলী ও অ্যাংকর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, মসুর ডাল ৯০ থেকে ১২০ টাকা আর চিনি প্রতিকেজি ৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া চালের বাজারও আগের মতোই চড়া। খুচরায় প্রতিকেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা, পায়জাম ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৫৮ টাকা, জিরা মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৫৫ টাকা, পোলাও চাল (খোলা) ৯৫ থেকে ১০০ টাকা।

বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, আর গরু মাংস ৫৫০ টাকা ও মহিষের মাংস ৬০০ টাকা কেজি দরে।

বাজারে আগের দামে ব্রয়লার ও লেয়ার বিক্রি হচ্ছে। তবে বিক্রি কম হওয়ায় সোনালি মুরগির দাম প্রতিকেজিতে ২০ টাকা কমে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৪০ টাকায়। দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা, প্রতিকেজি রুই (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা, মৃগেল ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাস ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কৈ মাছ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, সিলভার কর্প ১০০ টাকা, মিররর কাপ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আর প্রতিকেজি কাঁচকি ও মলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, দেশি টেংরা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, হরিণা চিংড়ি ৬০০ টাকা।

বাজারে দেশি পেঁয়াজ ও আদার বাজার অপরিবর্তিত থাকলেও দাম কমেছে আমদানি করা পেঁয়াজের। এসব বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা, দেশি কিং পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা।

এছাড়া আমদানি করা মিশরের পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা ও চায়না পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৬০ টাকা। তবে রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি দেশি রসুন ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আমারসংবাদ/জেডআই