Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ৩, ২০২০, ০২:৪৬ পিএম


পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে

দেশের পাট খাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বাস্তবমুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান আরও বাড়ছে। সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাটচাষিদের উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি পাটশিল্পের সম্প্রসারণে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করছে।

পাটশিল্পের পুনরুজ্জীবন ও আধুনিকায়নের ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০,’ ‘পাট আইন, ২০১৭’, ‘জাতীয় পাটনীতি, ২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ মঙ্গলবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য মতে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৪৩.৮৭ কোটি ডলার আয় করেছে। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৯.৫২ শতাংশ বেশি। আর তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০.৪৭ শতাংশ বেশি।

এছাড়াও, চলতি পাট মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সরকার মানসম্মত পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও পাটবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে পাট অধিদপ্তরের আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি জুলাই, ২০১৮ থেকে মার্চ ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাটচাষের উন্নত কলাকৌশল সম্পর্কে চাষিদের প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। এছাড়াও গুণগত মানসম্মত পাট ও পাটবীজ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ৩৯০ মে.টন পাটবীজ বিনামূল্যে বিতরণসহ সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।

আমারসংবাদ/এমআর