Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

২০১৭ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে

মার্চ ২২, ২০১৫, ০৮:১০ এএম


২০১৭ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে

 

২০১৭ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ২০১৮ সালে সেতু উদ্বোধন করা হবে এবং এর পরপরই যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

রোববার দুপুরে নগর ভবনে ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষ পরিচালনা পরিষদের পঞ্চম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন, নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র রমজান আলী, সেতুু বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকারের সচিব, ভূমি সংস্কার বোর্ডের সচিব, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও রাজউক, বিআরটিএ, ঢাকা সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর সব সংযোগ সড়ক ফোর লেন করা হবে। মাওয়া থেকে বাবুবাজার পর্যন্ত আমাদের পর্যাপ্ত জমি আছে। নতুন করে অধিগ্রহণ করতে হবে না। আশা করি ফোর লেনের কাজ দ্রুত শেষ হবে।’

 তিনি জানান, পদ্মা সেতুর জাজিরা পয়েন্ট থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার ফোর লেনের কাজ করা হবে। সবমিলিয়ে ২১ কিলোমিটার ফোর লেনের কাজ সেনাবাহিনীকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রাজধানী ঢাকায় শিগগিরই মেট্রোরেল চালু হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে আমাদের টার্গেট ছিল মেট্রোরেলের কাজ শেষ করা। কিন্তু জাইকার অর্থায়নে তাদের পরামর্শে কাজ এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এবং ২০২০ সালের মধ্যে ফার্মগেট থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ শেষ করা হবে।’

বর্ষাকাল ও রমজান মাসে যাতে মানুষের ভোগান্তি না হয় সেদিকে লক্ষ রেখে আগামী দুই মাসের মধ্যে রাজধানীসহ সারা দেশে সড়ক মহাসড়ক মেরামতের কাজ শেষ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে ঢাকার প্রবেশপথে রাস্তা দ্রুত মেরামত ও অবৈধ দখলমুক্ত করারও নির্দেশ দেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘অবৈধ দখলের কারণে ঢাকার প্রবেশপথে মারাত্মক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং ফ্লাইওভার থেকে অবাধে যান চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটছে।’ গুলিস্তানের ফুটপাত ও রাস্তা দখল নিয়েও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘যেসব পয়েন্টে গিয়ে আমি নিজেই দখলমুক্ত করেছি সেসব রাস্তা আবারও দখল হয়ে গেছে।’ তিনি এসব বিষয় সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দেখার তাগিদ দেন।

 মগবাজার ফ্লাইওভার সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীর যানজট নিরসনে বড় ভূমিকা রাখবে মগবাজার ফ্লাইওভার। যেখানে আড়াই ঘণ্টা লাগত ওই এলাকা পার হতে সেখানে এটি হয়ে গেলে তিন মিনিটে যাওয়া যাবে। মগবাজার ফ্লাইওভারের আশপাশের রাস্তা সংস্কারহীন থাকায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দফায় দফায় তাগাদা দেওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রকৌশলীরা নজর দিচ্ছেন না। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগের মতো চলাচল অনুপযোগী বিশ্রি অবস্থা হবে। বর্ষাকাল ও ঈদের আগে রাস্তা সংস্কারকাজ শেষ করতে হবে।’

 যানজট কমাতে গাজীপুর, সাভারসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের ওপর থেকে কাঁচাবাজার দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখন প্রতিকূল অবস্থা  বিরাজ করছে। রাস্তায় যানবাহন মনিটরিং করতে সমস্যা হচ্ছে। পরিবহণ সংকট ও জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে লাইসেন্সবিহীন  চালক ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।’