Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

সিএসআরের অর্থ ব্যয়ে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ডিসেম্বর ২৩, ২০১৪, ১১:০১ এএম


সিএসআরের অর্থ ব্যয়ে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

   ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতার অর্থ ব্যয়ের খাত ও পরিমাণ বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে সিএসআরের অর্থের ৩০ শতাংশ শিক্ষা খাতে এবং ২০ শতাংশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে ব্যয় করতে হবে। বাকি অর্থ দুর্যোগ মোকাবেলা, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশ ও খেলাধুলাসহ নির্দিষ্ট কিছু খাতে ব্যয় করা যাবে। আগে সিএসআরের অর্থ কোন খাতে কতো ব্যয় হবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পরিষদই তা নির্ধারণ করতো।

সোমবার এবিষয়ে একটি নির্দেশনামূলক নীতিমালার সার্কুলার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নীতিমালায় সিএসআরের কর্মসূচি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে আলাদা শাখার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি হলে প্রয়োজনে ফাউন্ডেশনও গঠন করা যাবে। নিজস্ব অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকও সিএসআর শাখা বা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম নজরদারি করবে। নীতিমালা অনুযায়ী, অর্থ বরাদ্দের জন্য সিএসআর শাখা বা ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে প্রস্তাব পাঠাতে হবে। বার্ষিক নিট মুনাফা থেকে অর্থ যোগানের অনুমোদন দেবে পর্ষদ।

তবে পর্ষদ সদস্য, উর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টিদের কারো সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগাযোগ থাকা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সিএসআরের অর্থ বরাদ্দ করা যাবে না। কোন বছরে কর পরবর্তী মুনাফা না থাকলে কোনো প্রতিষ্ঠান সিএসআর থেকে বিরত থাকতে পারবে। কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) এবং সবুজ অর্থায়নের মতো অগ্রাধিকার খাতের ঋণ বিষয়ে সিএসআর অব্যাহত রাখতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সিএসআরের অর্থ যাতে কোনোভাবেই জঙ্গি বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ব্যবহৃত না হয়- সেবিষয়ে প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, মোট সিএসআরের ব্যয়ের ৩০ শতাংশ শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণে ব্যয় করা যাবে। স্বল্প আয়ের পরিবার থেকে উঠে আসা এবং নাম করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া যাবে।

তবে এক শিক্ষার্থী যাতে একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তি নিতে না পারে সেজন্য পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতের ২০ শতাংশ সিএসআরের অর্থ রোগীর চিকিৎসার্থে অনুদান, সুবিধাবঞ্চিত জনগণের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা ও বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহসহ আরও কিছু খাতে ব্যয় করা যাবে।